চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানা এলাকায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার সময় দুই যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। আটক দুজন হলেন আবদুল কাদের ইমন (২৩) এবং আসাদুজ্জামান রাফি (২৬)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বন্দরটিলা সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনে থেকে তাদের আটক করে ইপিজেড থানা পুলিশ। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মো. আজিম নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর দাবি, ফুটপাতে বসা হকারদের কাছ থেকে ওই দুই যুবক বেশ কয়েকদিন ধরে চাঁদা আদায় করছেন। সমপ্রতি চাঁদার ৩০ হাজার টাকার জন্য ওই হকারকে গালাগাল করেন এবং পরবর্তীতে তার ওপর চড়াও হন ওই দুজন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মো. আজিম এবং তার সঙ্গীয় মো. রিপন আলী ভ্যানগাড়িতে করে সিইপিজেড এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করেন। ইমন ও রাফি আগে থেকেই নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করতে হলে তাদের চাঁদা দিতে হবে জানায়। ভয়–ভীতি দেখালে নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ীরা বেশ কয়েকবার চাঁদার টাকা দেন। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইমন চাঁদার টাকা নেওয়ার জন্য সিইপিজেড মোড়ে যান। তখন টাকা না থাকায় তারা দিতে পারেননি। ওইদিন দিবাগত রাত ১২টার পর ব্যবসায়ী আজিজের মুঠোফোনে রাফি কল করে টাকা না দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করে এবং টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। এরপর আজিম ও রিপনকে বন্দরটিলা সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনে যেতে বলেন রাফি। সেখানে পৌঁছা মাত্রই রাফি ও ইমন ব্যবসায়ী রিপনের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি–ধমকি দিতে থাকে। তাৎক্ষণিক ২ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বললেও তারা গালাগাল করতে থাকে। ওইসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অজ্ঞাত ৩–৪ জন ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে এবং ইমন ও রাফিকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
ইপিজেড থানার ওসি মো. আখতারুজ্জামান আজাদীকে বলেন, সমন্বয়ক পরিচয়ে ইপিজেড এলাকার হকারদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন যুবকরা। পরে স্থানীয় হকাররা মিলে ইমন ও রাফি নামে দুজনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের গতকাল বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।