বারো দিনের ছুটি কাটিয়ে মেয়র একাডেমি কাপ অনূর্ধ্ব–১৮ টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আবার মাঠে ফিরেছে। আবহাওয়াজনিত কারণ এবং মাঠের ব্যস্ততার জন্য এ ছুটি। গতকাল রোববার টুর্নামেন্টের দুটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদুটি খেলায় জয়লাভ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমি। চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম খেলায় চট্টগ্রাম বন্দর স্পোর্টস কমপ্লেক্স ১২ রানে চট্টগ্রাম ক্রিকেট একাডেমিকে পরাজিত করে। টসে জিতে চট্টগ্রাম ক্রিকেট একাডেমি বন্দর স্পোর্টসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। তারা ১৯.১ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান সংগ্রহ করে। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান যোগ হবার পর থেকে তারা ধীরেধীরে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। উদ্বোধনী ব্যাটার মাহির এ নিশান ১৭ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও আল দাইয়ান ওয়াসি টিকেছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। তিনি ৪৪ বল খেলে ২৭ রান সংগ্রহ করেন ১টি ছক্কায়। এরপর আবদুল্লাহ আল আদি ১০ এবং অধিনায়ক আবদুর নূরের ১৪ ছাড়া আর কেউই দুই অংকের ঘরে পা রাখতে পারেনি। চট্টগ্রাম ক্রিকেট একাডেমির মাশরাফি গালিব ১১ রানে, মো. সিফাত ৮ রানে এবং মো. মুন্তাসির ২২ রানে প্রত্যেকেই ৩টি করে উইকেট তুলে নেন। ১টি উইকেট পান ওমর ফারুক ১৬ রানের বিনিময়ে।
জবাবে চট্টগ্রাম ক্রিকেট একাডেমি ১৮.৪ ওভার ব্যাট করে ৭১ রানে সবাই আউট হয়ে যায়। শুরুতেই উইকেট হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২২ রান সংগ্রহ করতে পারলেও পরবর্তীতে আর বড় জুটি গড়া হয়নি তাদের। ওপেনার জাহিন আহমেদ ১১ বলে ১টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে ১৩ রান করেন। অন্যদিকে চার নম্বরে খেলতে নামা তাসনিম বিন নবী ২৬ বল খেলে ১৫ রান করেন। এ দুজন ছাড়া বাকিরা দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। দলের সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত ১৮ থেকে। চট্টগ্রাম বন্দর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পক্ষে আবদুর নূর মাত্র ৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া মোবারক হোসেন এবং মাহির এ নিশান যথাক্রমে ৯ এবং ১২ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান নিয়াজ চৌধুরী, আল দাইয়ান ওয়াসি এবং রোহিত নিবিড়। একই মাঠে দিনের অপর খেলাটি বৃষ্টির ফাঁদে পড়ে। এক ইনিংস সম্পন্ন হলেও পরের ইনিংসের সময় বৃষ্টি আসে। এরপর আবার খেলা শুরু হয়। এই খেলায় ডিএল মেথডে ইস্পাহানি ক্রিকেট একডেমি ৯ উইকেটে ব্রাইট ক্রিকেট একাডেমিকে পরাজিত করে। টসে জিতে ব্রাইট একাডেমি প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান সংগ্রহ করে। দলের প্রথম চার ব্যাটার রান না পেলেও মিডল অর্ডারে আসাদ উদ্দিন ৩২ বলে ২৮ রান করেন ২টি ছয় এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে। এছাড়া আতিকুর রহমান ১৫ বলে ১২ এবং আশিক আলম ৯ বলে ১০ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে জমা হয় ১১ রান। ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমির মো. সাইমন ১০ রানে ৩টি উইকেট লাভ করেন। ১টি করে উইকেট পান এস এ রিয়েল,তানজিবুল ইসলাম এবং মো. সরফরাজ নেওয়াজ। এরপর বৃষ্টি এলে ডিএল মেথডে ইস্পাহানি ক্রিকেট একাডেমি ৬.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করে জয়ে পৌঁছে যায়। ওপেনার সাজ্জাদ হোসেন ১৭ বলে ৯ এবং মো. নূর ১৫ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। নূর ২টি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া নীলাচল বড়ুয়া ১৩ রান করে আউট হন। ব্রাইট ক্রিকেট একাডেমির আশিক আলম ১৪ রান দিয়ে ১উইকেট পান।