চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সীমিত পরিসরে পণ্য ডেলিভারি শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সরবরাহ নিয়েছে। বেসরকারি আইসিডিগুলোতে পণ্য পাঠানোর পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ স্বাভাবিকভাবে চলেছে। এতে করে একদিনের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে আটকা পড়া কন্টেনারের সংখ্যা সামান্য কমেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং ইন্টারনেট সেবা চালু হলে বন্দরে আটকা পড়া পণ্যের সংখ্যা কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বন্দরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা গতকাল আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গতকাল ৬৫ টিইইউএস কন্টেনার পণ্য আমদানিকারককে সরবরাহ দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য ডেলিভারি হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এর পরিমাণ নগণ্য হলেও পণ্য ডেলিভারি শুরু হওয়ায় কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে। আজ কালের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ইন্টারনেট সেবা চালু হলে পণ্য ডেলিভারি গতি পাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, গতকাল বন্দর থেকে বেসরকারি আইসিডিগুলোতে ১ হাজার ১১০ টিইইউএস কন্টেনার পণ্য ডেলিভারি হয়েছে; যা গত কয়েকদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। আজ কালের মধ্যে কারফিউ শিথিল, ইন্টারনেট চালুসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু হলে কন্টেনার ডেলিভারির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে।
বন্দর থেকে সীমিত পরিসরে কন্টেনার ডেলিভারি শুরু হওয়ায় বন্দরে দেখা দেওয়া কন্টেনার জট কিছুটা কমতে শুরু করেছে। গত সোমবার বন্দরের ইয়ার্ডে থাকা কন্টেনারের সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ১৫০ টিইইউএস। গতকাল তা কমে ৪১ হাজার ৬২০ টিইইউএসে নেমেছে। এই সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা দ্রুত কমে আসবে বলে বন্দরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আজ বেশ কিছু কন্টেনার ডেলিভারি হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা চালুসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু হলে কন্টেনারের ডেলিভারি আরো বেশি গতিশীল হবে।
বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপোটস এসোসিয়েশনের (বিকডা) সেক্রেটারি মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, আইসিডিগুলোতে পুরোদমে কাজ শুরু হয়নি। তবে আজ বন্দর থেকে আমদানি পণ্য বোঝাই কন্টেনার পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আইসিডিগুলো পুরোদমে কাজ করবে বলে জানান তিনি।