রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথে পণ্য বোঝাই কন্টেনার ও তেল পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বন্দরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে বন্দরে কন্টেনার জট সৃষ্টির আশঙ্কা আছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে তিনটি কন্টেনারবাহী ট্রেন ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্মবিরতির কারণে একটিও যায়নি। একইসাথে একটি তেলবাহী ট্রেনও সিডিউল অনুযায়ী রংপুরের পথে যাত্রা করেনি। ধর্মঘটের কারণে সেগুলো সিজিপিওয়াই স্টেশনে আটকা পড়েছে। রানিং স্টাফদের কর্মসূচির কোনো সুরাহা না হওয়ায় নতুনভাবে সূচি নির্ধারণ করা হয়নি।
সোমবার রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এর ফলে সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সিজিপিওয়াই স্টেশন মাস্টার আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় শিডিউল ওলট পালট হয়ে গেছে। ধর্মঘট প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এটা ঠিক হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, সিডিউল অনুযায়ী আমাদের তিনটি কন্টেনারবাহী ট্রেন যাত্রা করার কথা থাকলেও একটিও যায়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। একদিন–দুদিন ধর্মঘট হলে হয়তো তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। তবে এটা কন্টিনিউ করলে বন্দরে জট তৈরি হবে।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৪০ টিইইউএস কন্টেনার রেলের মাধ্যমে ঢাকার আইসিডিতে পাঠানো হয়। একইভাবে আইসিডি থেকেও কন্টেনার নিয়ে বন্দরে ট্রেন আসে। ধর্মঘটের কারণে আইসিডির কন্টেনারও চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়নি। এতে পণ্য শিপমেন্ট এবং মাদার ভ্যাসেল পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।
অপরদিকে উত্তরাঞ্চলসহ জ্বালানি তেল নিয়ে ট্রেন চলাচল করে দেশের বিভিন্ন স্থানে। চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কলকারখানায়ও জ্বালানি তেল পরিবাহিত হয় ট্রেনের মাধ্যমে। ধর্মঘটের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় জ্বালানি তেল পরিবহনও ব্যাহত হচ্ছে। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।