চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা দুই কন্টেনারে ৩০ টন হাইড্রোজেন পার অক্সাইড স্পট নিলামে বিক্রি করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুনে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বিস্ফোরণের ঘটনায় অনেকটা হুট করে গতকাল সোমবার বিকেলে এসব রাসায়নিক প্রকাশ্য নিলামে তোলা হয়।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, স্পট নিলামে ৩০ টন হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয় ২৩ লাখ টাকা। নিলামে ১৫ জন বিডার
অংশ নেন। তবে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এসব রাসায়নিক কিনে নেন মেসার্স আলহাজ ইয়াকুব চৌধুরীর স্বত্বাধিকারী মো. ইয়াকুব চৌধুরী। জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক না। তবে এসব রাসায়নিক মজুদে কিছু গাইডলাইন মানতে হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে এই কেমিক্যালগুলো এসেছে প্রায় ৪ বছর আগে। কোয়ালিটি মোটামুটি মানের। যেহেতু সীতাকুণ্ডে একটা ঘটনা হয়েছে, তাই হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিয়ে চারপাশে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এটি কোনো বিস্ফোরক জাতীয় রাসায়নিক না। আমি এসব রাসায়নিক দ্রুত বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করবো।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) আলী রেজা হায়দার বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের কারণে আমরা বন্দরে পড়ে থাকা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড স্পট নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিই। এসব রাসায়নিক গত ২০১৮ সালে তুরস্ক থেকে গাজীপুরের কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছিল। তবে রাসায়নিকের লেবেলে মেয়াদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিলামে অংশ নেয়া ১৫ জন বিডারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় দর হাঁকিয়ে মেসার্স আলহাজ ইয়াকুব চৌধুরী নামের একটি প্রতিষ্ঠান কিনে নিয়েছে।