কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ) এর কমিশনার মোহাম্মদ আহসানুল হকের সাথে মতবিনিময় করেছেন বাংলদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) নেতারা।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বন্ড কমিশনারেটের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় বিজিএপিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-বিজিএপিএমইএর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো এইচএস কোডজনিত বিভ্রান্তির কারণে কাঁচামাল হিসেবে আমদানিকৃত স্টার্চ খালাসের জটিলতা নিরসন, রপ্তানির মাস্টার এলসির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ৪৮ ঘন্টা পূর্বে দাখিলকৃত আবেদনের ভিত্তিতে ইউপি প্রদান, বন্ডেড প্রতিষ্ঠান অডিটের সময় সারা বছরের সকল ইউপি দাখিলের শর্ত প্রত্যাহারসহ অন্যান্য আরো কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
বন্ড কমিশনার মোহাম্মদ আহসানুল হক বন্ড কমিশনার বিজিএপিএমইএর উত্থাপিত সকল বিষয়গুলো আন্তরিকতার সাথে শোনেন এবং প্রস্তাবগুলোর পক্ষে যৌক্তিকতা থাকায় বিষয়গুলো বিধি অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে বলে জানান। বিজিএপিএমইএর নেতৃবৃন্দ কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সকল কর্মকর্তাকে তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সমস্যাবলীর সমাধান এ সেক্টরের ব্যবসা পরিচালনায় গতির সঞ্চার করবে বিবেচনায় এসোসিয়েশনের পক্ষ হতে বিষয়গুলোর প্রতি জরুরি সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির লক্ষ্যে একটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান এবং সদস্য (কাস্টমস রপ্তানি, বন্ড ও আইটি) বরাবর বিজিএপিএমইএ এর পক্ষ চিঠি দেয়া হয়েছে। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএ কাস্টমস সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও ২য় সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম মোস্তফা সেলিম, সহসভাপতি জহির উদ্দিন আলমগীর, পরিচালক মো. আব্দুন নূর এবং জে আর এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজের মো. জাহিদুল হক প্রমুখ।