চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন কক্সবাজারের পেকুয়ায় নানা নাটকীয়তার পরে মধুখালী এলাকায় হারবাং রিজার্ভ মৌজার সংরক্ষিত বনে বনবিভাগের জব্দ করা ৪ লাখ ঘনফুট বালু ফের আদালতের নির্দেশে বনে ছিটিয়ে দিতে শুরু করেছে বনবিভাগ।
গতকাল রবিবার এবং আগেরদিন শনিবার থেকে বালু বনের ভেতর সমান্তরাল করে বিছিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে বনবিভাগ। এতে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও সুফল উপকারভোগীসহ তিন শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন। চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বালুর পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা সম্পূর্ণ ছিটিয়ে দিতে আরও কয়েকদিন লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হক।
গত ২ মে বনের নিচু ও সমান্তরাল স্থানে বালু ভরাট করে সেখানে বৃক্ষরাজি সৃজন করার ভিডিও চিত্রসহ বনবিভাগকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। ৮ মে কার্যক্রম শুরু করে বনবিভাগ। একইদিন মেহেদী হাসান ফরায়েজী নামে এক ব্যক্তি গহীন অরণ্যের এ বালুর মালিকানা দাবি করে আদালতে একটি আবেদন করেন। পরে আদালত তার আবেদনের বিষয়টি পেকুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তের নির্দেশ দেন। এসি ল্যান্ড প্রতিবেদন দাখিলের পরে গত ২৯ মে বনবিভাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওইসব বালু ফের বনের ভেতর ছড়িয়ে–ছিটিয়ে বিছিয়ে দেওয়ার জন্য দ্বিতীয়বার নির্দেশ দেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, পাঁচটি হুইল লোডার ও একটি এস্কেভেটর দিয়ে বালুর স্তুপগুলো বনের নিচু ও সমান্তরাল স্থানে বিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর পর সেখানে বৃক্ষরাজি সৃজন করা হবে।
রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘যারা পাহাড় কেটে বালু মজুদ করেছে, তারা বনবিভাগের কাজে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করেছে। আদালতের নির্দেশনা প্রতিপালনসহ কয়েকদিনের মধ্যে এ বালু বনে মিশিয়ে সেখানে বৃক্ষরাজি সৃজন করা হবে। একইসাথে বালু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’