বধ্যভূমিতেই হোক শহীদ মিনার ও চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী | সোমবার , ৭ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের গুরুত্ব। ঢাকার আগে বললেও অত্যুক্তি হয় না। কেন না সারা বাংলাদেশে ৭১এর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলেও চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো ২৫ মার্চ। তৎকালীন ইপিআরএর কোয়ার্টার মাস্টার ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম (মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম) চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ২৫ মার্চ রাত ৮.৩০ মিনিটে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র, উপকরণ ও স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হলেও চট্টগ্রামে হয়নি। চট্টগ্রামে একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছিলো, সেটিও এখন নাই হয়ে গেছে। সুতরাং চট্টগ্রামে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামের সুসন্তান নোবেল বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহৃদয় অবগতির জন্য একথাগুলি নিবেদন করে চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়ে তাঁর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

চট্টগ্রামে স্বাধীনতার পর কে সি দে রোডে মুসলিম হলের সামনে যে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছিলো, সেটি সম্প্রতি মুসলিম হল সম্প্রসারণ করে সংস্কৃতি বলয় নির্মাণ করতে গিয়ে ঢাকা পড়ে গেছে। রাস্তা থেকে মিনারের উপরের অংশ দৃষ্টিগোচর হয় বটে, কিন্তু আগে যেভাবে রাস্তা থেকে শহীদ মিনারে উঠার সিঁড়িসহ দেখা যেত, তা এখন আর দেখা যায় না। ফলে শহীদ মিনারকে ঘিরে বাঙালির যে চেতনা ও অনুভূতি অভিব্যক্ত হয়, তা এখন আর প্রকাশের ক্ষেত্র খুঁজে পায় না। যে কারণে সংস্কৃতি কর্মীরা হতাশ এবং বাঙালির সংকটে, সমস্যায় শহীদ মিনার আর সংস্কৃতি কর্মীদের সাহস ও শক্তি জোগানোর জ্বলন্ত প্রেরণা হিসেবে কাজ করে না।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক শ্রদ্ধেয় ইন্দু নন্দন দত্ত আমাকে অনুরোধ করেছেন, শহীদ মিনার নিয়ে একটা লেখা আমি যেন লিখে পত্রিকায় প্রকাশ করি। তিনি বলেছেন-‘পুরানো শহীদ মিনার আমাদের চেতনায় আর কোন অনুভূতি জাগায় না। আমাদেরকে নতুন কোন স্থানে নতুন করে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা ভাবতে হবে’। তিনি একটি জায়গাও পছন্দ করে রেখেছেন। সেটি হলোপুরানো সার্কিট হাউসের সম্মুখস্থ ময়দান যা এতদিন শিশু পার্ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল, সেটি সম্প্রতি উচ্ছেদ করায় সম্পূর্ণ জায়গাটি খালি হয়ে উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জায়গাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন সম্পত্তি এবং তা বিজ্ঞাপিত করে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রস্তাব হচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের উচিত সেখানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা। ইন্দু বাবুর প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত করার কোন কারণ দেখছি না। জায়গাটা আমারও পছন্দ। তবে আমি একটু সংযোজন করতে চাই, সেটি হলোযেহেতু জায়গাটা বেশ বড়, সেহেতু এক পাশে শহীদ মিনার এবং আরেক পাশে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ বা জাদুঘর নির্মাণ করা যেতে পারে। এই জায়গাটির সঙ্গে চট্টগ্রামের জনসাধারণের একটি স্পর্শকাতর স্মৃতি ও বেদনাময় অনুভূতি জড়িয়ে আছে। সার্কিট হাউস যা এখন জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরিত, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেটি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের সদরদপ্তর হিসেবে ব্যবহার করত। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক জনসাধারণকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হতো এবং অনেককে মেরে সার্কিট হাউসের সামনে পিছনে উন্মুক্ত স্থানে লাশ ফেলে দেয়া হত। ১৭ ডিসেম্বর ৭১ সকালে যৌথবাহিনী চট্টগ্রামে এসে পৌছায় এবং ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড থেকে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে তাঁর কাছে গোপনে রক্ষিত একটি স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম বিজয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তখন সেখানে যৌথবাহিনী এবং এমএ হান্নান সহ চট্টগ্রামের কোন কোন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে ছিলেন। সেসময় এক মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিলো। সার্কিট হা্‌উসের মাঠ জুড়ে অসংখ্য নরকঙ্কাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিলো। সার্কিট হা্‌উসের অভ্যন্তরে মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনের যন্ত্রপাতি পড়েছিলো। আরো পরে সার্কিট হা্‌উসের মাঠে সন্ধ্যায় টেবিল চেয়ার বিছিয়ে আড্ডা ও পার্শ্ববতী দারুল কাবাব ও সাকুরা থেকে চিকেন টিক্কা ও কাবাব এনে ভুড়ি ভোজনের প্রচলন হয়। আরো পরে চট্টগ্রামে যখন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আরম্ভ হয়, তখন সার্কিট হা্‌উসের মাঠটিতেই বিজয় মেলার পট উন্মোচিত হয়েছিলো। আমি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকআজম বীর প্রতীকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, তিনি তো বিজয় মেলার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এবং এক সময় দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি আবুল মোমেন, দৈনিক সুপ্রভাত সম্পাদক রুশো মাহমুদ, সাংবাদিক রইসুল হক বাহারের সহযোগে চট্টগ্রামে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারা নিউ মার্কেটের দক্ষিণ পাশে পাক বাহিনীর সাথে শহীদ রফিক, অমল, শফিউল বশর ও ফজলুল হক ভুঁইয়াদের সম্মুখ যুদ্ধের স্থানে একটি ফলকও স্থাপন করেছিলেন। সার্সন রোডে তাঁরা একটি অফিসও নিয়েছিলেন। এখন তিনি অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও চট্টগ্রামের সুসন্তান; তাঁর খুব আস্থাভাজন মানুষ ফারুকআজম বীর প্রতীক। ফারুক ভাই সার্কিট হাউস মাঠে শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা এবং তাঁর সাহায্য ও হস্তক্ষেপ কামনা করতে পারেন।

বর্তমানে নতুনপাড়ার যেস্থানে চট্টগ্রাম সেনানিবাস অবস্থিত আছে, সেটি পাকিস্তান হওয়ার পর স্থাপিত হয়। ব্রিটিশ আমলে ক্যান্টনমেন্ট ছিলো পলোগ্রাউন্ড থেকে জহুর আহমদ চৌধুরীর বাড়িসম্মুখভাগ পর্যন্ত মাঠ জুড়ে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মন্ত্রী, এমএলএ ও এমপি জহুর আহমদ চৌধুরীর বাড়ির সম্মুখের রাস্তাটি এখনও পল্টন রোড নামে পরিচিত। পল্টন সেনাবাহিনীকেই বুঝানো হয়। যেমন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং সাংবাদিকসাহিত্যিক মাহবুব উল আলম প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর যে সৈন্যদলে যোগদান করেছিলেন, তার নাম ছিলো ৪৯ নম্বর বাঙালি পল্টন।

স্টেডিয়ামও ছিলো ক্যান্টনমেন্ট। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের দামপাড়া পুলিশের অস্ত্রাগার আক্রমণের পর ওয়াসা অফিসের স্থান থেকে ব্রিটিশ সৈন্যদের একটি ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্ন অবস্থান থেকে বিপ্লবীদের প্রতি লক্ষ্য করে লুইস গানের গুলি ছোঁড়া হয়েছিলো। অস্ত্রাগার আক্রমণের উপর রচিত বইপত্রে এই ঘটনার উল্লেখ আছে। পলোগ্রাউন্ডকে তখন বলা হত নেজামত পল্টন বা নিজাম পল্টন। স্টেডিয়ামের মাঠের নামও ছিলো পল্টন। লালখান বাজার মোড়ে ইস্পাহানির হোটেল এভিনিউ এবং পিটস্টপ রেস্টুরেন্টের উত্তর দিকে সেনাবাহিনীর এমবারকেশন সেন্টার আছে। রেডিসন ব্লু পাঁচতারা হোটেলও সেনাবাহিনীর জায়গায় সেনাবাহিনী তৈরি করেছে। স্টেডিয়ামের পশ্চিম দিকে রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বস্থিত জায়গায়গুলিতেও সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। পাকিস্তান হওয়ার সাথে সাথে নতুনপাড়ায় জায়গা বরাদ্দ করে সেখানে ক্যান্টনমেন্ট স্থানান্তরিত করা হয়। মোগল আমলে শহরকেন্দ্র ছিলো চকবাজার, ভঙ্গঘুটনা। তখন ক্যান্টনমেন্টও সেখানে ছিল। চকবাজারে ‘উর্দুগলি’ নামে নতুন ও পুরাতন দুটি গলি আছে। উর্দু মানেও সৈন্য শিবির।

আমার মনে হয়, উপযুক্ত লোকেরা সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হলে তাঁরা হয়তো সার্কিট হাউস মাঠটি শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরের জন্য ছেড়ে দিতে অসম্মত হবেন না। সেনাবাহিনীও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত অংশিদার। সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধকালেই গঠিত হয়েছিলো। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের ১১জন কমান্ডারই ছিলেন সেনাবাহিনী ও বিডিআরএর কর্মকর্তা। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হলে সেনাবাহিনীর বীরত্বপূর্ণ ও গৌরবময় ঘটনারই সাক্ষ্য ও দলিলপত্র সেখানে সংরক্ষণ করা হবে। বায়েজিদের দিক থেকে চট্টগ্রাম সেনাবিনাসে প্রবেশ করলে কোথাও একটা জাদুঘর আছে। জেনারেল নাসিম যখন সেনাপ্রধান এবং জেনারেল ইব্রাহিম যখন চট্টগ্রাম সেনা নিবাসের জিওসি, তখন সে জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়েছিলো। জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সঙ্গে কর্নেল হারুন, মেজর মোদাচ্ছের এবং সুবেদার নুরুল হক যুক্ত ছিলেন। আমি তখন পূর্বকোণে কর্মরত। তাঁরা একদিন এসে আমার সাহায্য চেয়েছিলেন, আমি যতটুকু জানি এবং পারি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম। আমি বেশকিছু আলোকচিত্র, মানচিত্র এবং বইপত্র সংগ্রহ করে দিয়েছিলাম। সম্ভবত তাদের জাদুঘরের নাম ‘স্মৃতি অম্লান’ কিংবা ‘গৌরব’ শব্দ দিয়ে রচিত কোন নাম। আমি আশা করব উপদেষ্টা ফারুকআজম, চট্টগ্রামের শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিশেষ করে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীদেরকে সার্কিট হাউস মাঠে শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ বা জাদুঘর নির্মাণের জন্য যে প্রস্তাবটি দিলাম, সেটি নিয়ে তারা আলোচনা করবেন এবং তারা যদি আমার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন তাহলে চট্টগ্রামের সেনা কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেবেন। মুক্তিযুদ্ধে পুলিশেরও গৌরবময় ভূমিকা আছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ কালরাতে প্রথম আক্রমণটা চালায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও পিলখানা, ইপিআর সদর দপ্তর এবং আন্দোলনের দুর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে। চট্টগ্রামে পুলিশের এসপি শামসুল হক, কোতোয়ালী থানার ওসি আবদুল খালেক এবং দামপাড়া পুলিশ লাইনের আর আই আকরাম হোসেনসহ বহু অফিসার ও সিপাহীকে বর্বরোচিত উপায়ে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানি হানাদাররা। ওসি খালেককে পাকিস্তানি জানোয়ার বাহিনী উপায়ে জিপের পেছনে বেঁধে রাস্তায় টেনে টেনে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো।

চট্টগ্রাম সেনানিবাসে চিফ ইনস্ট্রাক্টর কর্নেল মুজিবুর রহমান চৌধুরী এবং প্রায় দেড় হাজার নব্য রিক্রুটকৃত বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে বর্বর পাকিস্তানিরা। সেই ভাগ্যবিড়ম্বিত রাতে হত্যাকাণ্ড থেকে যাওয়া বেঁচে যাওয়া একজন হাবিলদার কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে এসেছিলো জেনারেল এস এ ভূঁইয়ার কাছে। তিনি তখন ক্যাপ্টেন, থাকতেন বায়েজিদের ওখানে। সেই হাবিলদার হাঁপাতে হাঁপাতে তাঁকে বলেছিলো-“স্যার ক্যান্টনমেন্ট ভেসে গেছে বাঙালির রক্তে”।

লেখক : সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতি সংগঠক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসম্ভাবনাময় যুব সমাজ : সমস্যা এবং উত্তরণের উপায়
পরবর্তী নিবন্ধরাশেদ রউফ-এর অন্ত্যমিল