নগরীর বহদ্দারহাটের ৫ তলা একটি ভবনে গ্যাস লিকেজ জনিত বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে ফ্ল্যাটের দরজা উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কাচের জানালা ভেঙে গেছে। এছাড়াও ঘরের ফ্রিজসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তছনছ হয়ে গেছে।
বহদ্দারহাটের আহমদ টাওয়ারের ৫ তলার ফ্ল্যাটে গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। ভবনের নিচতলায় একটি জুতোর (এপেক্স) শোরুম রয়েছে। বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়েরুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, এ ঘটনায় মো. হানিফ নামে একজন আহত হয়েছেন। তবে ততটা গুরুতর নন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের কালুরঘাট স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দিন জানান, ঘরটির লাইনের গ্যাসের চুলার সুইচ হয়তো ভালোভাবে বন্ধ করা ছিল না। যার কারণে গ্যাসে ঘর ভর্তি হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ দরজা–জানালা বন্ধ থাকার পর কেউ হয়তো ম্যাচের আগুন বা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘরের দরজা উড়ে গেছে। আর কাচের সব জানালা ভেঙে গেছে। একজন সামান্য আহত হয়েছে বলে শুনেছি। যদিও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান এ কর্মকর্তা। ওই পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় বিস্তারিত জানতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ফলে ঘটনার ক্ষয়–ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষ বলছে তারা।
ঘটনাস্থলে যাওয়া চান্দগাঁও থানার এসআই জালাল উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণের সময় পরিবারের ৮ জন সদস্য বাসায় ছিলেন। তবে মো. হানিফ নামে একজনের শরীরে আগুনের হলকা লাগে। খুব বেশি গুরুতর না। সামান্য আহত। তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণে বাসার ফ্রিজসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তছনছ হয়ে গেছে বলে জানান চান্দগাঁও থানার ওসি মো. খায়েরুল ইসলাম।
লাইনের গ্যাসের লিকেজের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা পোষণ করে ওসি বলেন, ক্ষয়–ক্ষতির বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস এখনো কিছুই জানায়নি।