ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশের বিভিন্ন স্থাপনার মত ক্রীড়া স্থাপনাগুলোর নামও পরিবর্তন হতে থাকে। এরই মধ্যে দেশের অনেকগুলো স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের দুটি স্টেডিয়ামের মধ্যে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নাম আগেই পরিবর্তন করা হয়েছে। সেটি এখন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেনেন্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম। গতকাল পরিবর্তন করা হলো চট্টগ্রামের সবচাইতে পুরানো স্টেডিয়াম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের নাম। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়। যার বর্তমান নাম হবে জেলা স্টেডিয়াম চট্টগ্রাম। অবশ্য আগেও এই স্টেডিয়ামের নাম ছিল চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম। যদিও ১৯৫৫ সালের জানুয়ারীতে নির্মিত এই এই স্টেডিয়াম নিয়াজ স্টেডিয়াম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। পরবর্তীতে স্বাধীনতার পর স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম হিসেবে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামকে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এবং তৎকালীন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন স্টেডিয়ামকে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নামকরণ করা হয়। ২০২৪ এর ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর এই দুই স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে গেল। চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক একটি স্থাপনা। এই মাঠে বাংলাদেশ দল প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায়। বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী এই স্টেডিয়ামে বসেছে অনেক আন্তর্জাতিক ফুটবল এবং ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বিশ্বের ৮২ তম টেস্ট ভেন্যু এই চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম। এই মাঠে বিপিএল পিসিএল ছাড়াও টেস্ট এবং ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। এছাড়া ফুটবলে এএফসি চ্যালেঞ্জ, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ সহ অনেক আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের খেলাধুলার প্রাণ এই স্টেডিয়ামটি ধীরে ধীরে রূপ পায় পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম হিসেবে। এখন থেকে সেই স্টেডিয়াম আবার পুরানো নাম চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে ফিরে গেল।