খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শুভ বড়দিন আজ। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামের খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বিরাজ করছে উৎসবের আবহ। প্রতি বছরের মতো এবারও চট্টগ্রামে নানা আয়োজনে পালন করা হচ্ছে বড়দিন। সিএমপি কর্তৃপক্ষ বড়দিন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গতকাল থেকেই খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এলাকা এবং গির্জাগুলো ঘিরে যৌথবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। আজ বুধবার সরকারি ছুটির দিন।
নিরাপত্তার স্বার্থে মানতে হবে নিয়ম : অনুষ্ঠানে আগতদের নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু নিয়ম করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ক্যাথলিক আর্চ ডায়োসিস পালকীয় সেবা দলের সেক্রেটারি ফ্লেভিয়ান ডি’কস্তা। তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব পালকীয় সেবা দলের কমিটি থেকে নিজস্ব নিরাপত্তা কমিটি করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে উৎসবের আমেজ আছে। তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্র সীমিত করা হয়েছে। সন্ধ্যার আগে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও সন্ধ্যার পর দর্শনার্থী প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থেই কিছু নিয়ম করতে হয়েছে। তিনি বলেন, বড়দিন উপলক্ষে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় চার্চে সাজসজ্জা করা হয়েছে। সবার বাসায় বাসায় কেক–পিঠা এগুলোর ব্যবস্থা রয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা আগের চেয়ে একটু বাড়ানো হয়েছে। এরপরও আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকার চেষ্টা করছি। যেহেতু বড়দিন আর পাথরঘাটা গির্জায় মানুষের সমাগম একটু বেশি হয়।
এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় আয়োজন সীমিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ফাদার রিগেন ডি’কস্তা। তিনি বলেন, এবারে বাইরের দর্শনার্থীদের জন্য অনুষ্ঠান ওভাবে উন্মুক্ত থাকবে না। কিছু সীমিত থাকবে। তবে সারা দিন ঘরে ঘরে যাওয়া হবে। শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য খাওয়া–দাওয়া, গান–বাজনা উৎসবের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন হবে।
সিএমপির উপ–পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, বড়দিন উপলক্ষে গির্জাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নগরের প্রত্যেকটি গির্জাকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি গির্জা ঘিরে বাড়ানো হয়েছে যৌথবাহিনীর টহল। নগরীর গির্জাগুলোর প্রবেশ মুখে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও সিসি ক্যামেরা। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বড়দিন নিয়ে কোনো ধরনের গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানিয়েছে সিএমপি।
সিএমপি সূত্র বলেছে, বড়দিন ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবুও দিনটি নির্বিঘ্নে উদযাপনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সব ইউনিটকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে নজরদারি করতে থাকছে সাইবার মনিটরিং টিম।