বড় সমাগমে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত কক্সবাজার সৈকত

| রবিবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ at ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

প্রতি বছরের মত বড় জনসমাগমের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। আজ রোববার সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মিলনের মাধ্যমে শুরু হবে এই প্রতিমা বিসর্জন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, কক্সবাজার ও পাশের বান্দরবান জেলার অর্ধশতাধিক মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে এই স্থানে। যা ঘিরে পর্যটক ও হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ৩ লাখের অধিক মানুষের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। গতকাল শনিবার দুপুরে ডিসির কার্যালয়ে এ বিষয়ে সভা হয়েছে।

কক্সবাজারের ডিসি মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।

ডিসি সালাহ উদ্দিন বলেন, সভায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি এবং উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। বিসর্জন ঘিরে চট্টগ্রাম থেকে নৌ বাহিনীর একটি ডুবুরি দল সৈকতে থাকবে জানিয়ে ডিসি বলেন, একই সঙ্গে লাইফগার্ড কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবেন। পূজারি, আগত দর্শণার্থী ও পর্যটক মিলে বিপুল মানুষের সমাগম হবে। এ জন্য পৌরসভা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করবে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে থাকবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিশেষ দল।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, ১৫১টি প্রতিমা ও ১৭০টি ঘট পূজা মিলিয়ে জেলায় ৩২১টি মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজা। তার দাবি, দেশের সবচেয়ে বড় বিসর্জন অনুষ্ঠান হবে সৈকতে। প্রশাসনের নিদের্শনা মতে, প্রতিমা বহনকারী গাড়ি সারিবদ্ধভাবে আসবে এবং ফিরবে।

কঙবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শহরের বাইরের পূজামণ্ডপগুলোর প্রতিমা কলাতলী মোড় এবং শহরের অভ্যন্তরের প্রতিমাগুলো প্রধান সড়কের হলিডে মোড় হয়ে লাবণী পয়েন্টের বিসর্জন অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিয়ন্ত্রণহারা বাস চাপায় প্রাণ গেল শিল-পাটা ব্যবসায়ীর
পরবর্তী নিবন্ধফেনীর সাবেক এমপি রহিম উল্লাহ ধানমন্ডিতে গ্রেপ্তার