বছরের শেষে খুলে দেওয়া হবে বঙ্গবন্ধু টানেল

চলতি মাসে চট্টগ্রাম বিভাগে চালু হচ্ছে ৫০ সেতু বিএনপি ১০ লাখ লোক বসালে আমরা ৩০ লাখ বসাতে পারি : কাদের

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু টানেল বছরের শেষে খুলে দেওয়া হবে। গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি বছরের প্রান্তিকে আমাদের বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্নের প্রকল্প এমআরটি লাইন ৬ (মেট্রো রেল) এর ফাস্ট ফেজের উদ্বোধন হবে এবং চট্টগ্রামের নদীর তলদেশের টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, এটাও বছরের শেষে খুলে দেওয়া হবে। আর অন্যান্য যে কাজ আছে, সেগুলো এগিয়ে চলেছে। খবর বাসসের।
চলতি অক্টোবর মাসে সারা দেশে ১০০টি সেতু চালু হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইতোমধ্যে সামারি পাঠানো হয়েছে। তিনি যখন সময় দেবেন, তখন সেতুগুলো উদ্বোধন করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মোটামুটি ঠিক করেছি, সবাই কানেক্টেড (উদ্বোধনের সময়) থাকবে। যেখানে সেতু বেশি, যেমন ৫০টির বেশি সেতু চট্টগ্রাম বিভাগে। চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকা-এ তিনটি বিভাগে প্রধানমন্ত্রী কানেক্টেড হবেন। অন্যান্যরা কানেক্টেড থাকবে, যাদের ব্রিজ আছে। তিনটি জায়গায় সমাবেশ হবে, উদ্বোধন উপলক্ষে সমাবেশ।
তিনি বলেন, বিএনপি কাঁধ থেকে তত্ত্বাবধায়কের ভূত নামাতে পারছে না। দেশের সংবিধানসম্মত উপায়েই নির্বাচন হবে। কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করবে। সেখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইভিএমের পক্ষে, কারণ এতে জালিয়াতির শঙ্কা নেই। অথচ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ইভিএমের বিপক্ষে আর বিরোধী দল পক্ষে। আর আমাদের ফখরুলরা ইভিএম চাচ্ছে না। নির্বাচনে ইভিএম থাকুক-সরকারি দল শতভাগ দাবি করছে। নির্বাচন কমিশন কতটুকু দেবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
কাদের বলেন, মানুষ কষ্টে আছে, এটাও ঠিক। তবে একজন মানুষও না খেয়ে কষ্টে মারা যায়নি। এর মধ্যেই চলতে হবে। দেশের রিজার্ভ নিয়ে খুব চিন্তিত নই। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে আগামী পাঁচ-ছয় মাস চলা সম্ভব। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা স্বস্তিতেও আছি। আমাদের খাদ্যেও তেমন সমস্যা নেই। অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে।
বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলছি চট্টগ্রামে (বিএনপির সমাবেশে) লাখের কাছে লোক হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের বহু লোক স্বীকার করতে চায় না। কেউ বলে ২৫ হাজার, ৩০ হাজার। সত্যকে আড়াল করে তো লাভ নেই। সমাবেশে বিএনপির লোক দেখে আমরা ভয় পাই না। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা শুধু বিএনপিকে বলি, শান্তিপূর্ণ থাকেন। ঢাকায় ১০ লাখ বসান, আমরাও ৩০ লাখ বসাতে পারি। কিন্তু যানযজটের কি অবস্থা হবে? অভাব ও কষ্টে রয়েছে এ ধরনের কিছু মানুষ বিএনপির সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি দেশে চোখে পড়ার মতো কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। এখন তাদের আন্দোলন দেখে সরকারের মাথা ঠিক আছে। বিএনপিকে বলব, আপনাদের মাথা যেন খারাপ না হয়। মাথা খারাপ করে আবার পেট্রোল বোমা নিয়ে নামবেন, আমরা তো সেই ভয় করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওজন স্কেলের কারণে বৈষম্যের শিকার ব্যবসায়ীরা : নওফেল
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী পিসফুল এ্যাসোসিয়েশনের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প