বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজারের ৩টি মাছ ধরা ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় পাটুয়ারটেকের নিকটবর্তী সাগরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জলদস্যুদের হামলায় তিনটি ট্রলারের ১৮ মাঝিমাল্লা আহত হয়। গতকাল বুধবার বিকালে আহত মাঝিমাল্লারা ট্রলার নিয়ে ঘাটে পৌঁছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দরিয়ানগর বোট মালিক সমিতির সভাপতি নজির আলম বলেন, জলদস্যুতার শিকার তিনটি বোটের দুটি দরিয়ানগর ঘাটের। আগের দিন দরিয়ানগর ঘাট থেকে ৬ জন করে মাঝিমাল্লা নিয়ে বোট দুটি সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। আহত মাঝিমাল্লারা বুধবার বিকাল চারটার দিকে ট্রলার নিয়ে ঘাটে পৌঁছার পর তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী জেলেদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, জলদসুুতার শিকার অপর বোটটি ইনানী ঘাটের। তবে বোটটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
জলদস্যুদের হামলায় আহত এফবি সাঈদিয়ার মাঝি মো. রফিক বলেন, আমরা মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে পাটুয়ারটেক উপকূলের নিকটবর্তী সাগরের মাছ ধরছিলাম। এ সময় একটি বোট নিয়ে ১৮/২০ জনের একদল অস্ত্রধারী জলদস্যু একে একে তিনটি ট্রলারে ডাকাতি করে। তারা তিনটি ট্রলারের মাছ, জালসহ সকল সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। এমনকি একটি কাঁচা মরিচ পর্যন্ত রাখেনি। পরে জলদস্যুরা তিনটি ট্রলারকে টেনে গভীর সাগরে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। যেখান থেকে উপকূলে পৌঁছাতে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ জানান, চলতি শীত মৌসুমে কক্সবাজারের পাটুয়ারটেক থেকে সেন্টমার্টিন উপকূলের নিকটবর্তী প্রায় ২ হাজার বর্গ কিমি এলাকাজুড়ে গভীর বঙ্গোপসাগরে চান্দাসহ উচ্চমূল্যের মাছগুলো ব্যাপকভাবে ধরা পড়ছে। এরফলে বেশিরভাগ মাঝিমাল্লা চান্দা জাল নিয়েই উপকূলে মাছ ধরছে। কিন্তু সাগরে উৎপেতে থাকা জলদস্যুরা মাঝিমাল্লাদের সর্বস্ব লুট করছে। তিনি দাবি করেন, গত এক মাসে কক্সবাজার উপকূলে অন্তত তিন ডজন ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। জলদস্যুদের উৎপাতে মাঝিমাল্লারা সাগরে যাচ্ছে আতংক নিয়ে। তিনি অবিলম্বে সাগরের জলদস্যুতা নির্মূলের জন্য কোস্টগার্ডসহ আইন শৃক্সখলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।