বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞানচিন্তা

ড. উজ্জ্বল কুমার দেব | শনিবার , ১২ আগস্ট, ২০২৩ at ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্থপতি, সফল রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি একজন বাস্তববাদী নীতিনির্ধারক ও বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, একটি জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে গেলে আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানে সমৃদ্ধশালী হতে হবে। বাংলাদেশকে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বিজ্ঞান চর্চার যে কোনো বিকল্প নেই তা তিনি শুরু থেকেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় কাজের শত ব্যস্ততার মাঝেও সারা দেশে শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নানাভাবে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দেন। দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন নতুন ধারণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের মনোনিবেশ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ভাষণে তিনি নির্বাচিত হলে দ্রুত মেডিকেল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন। ১৯৭৩ সালের ১৯ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে তিনি বিএ, এমএ পাসের পরিবর্তে বুনিয়াদি শিক্ষা নিয়ে তথা কৃষি স্কুল ও কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল ও কলেজে শিক্ষা নিয়ে সত্যিকারের মানুষ হওয়ার উপদেশ দেন। বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও বিজ্ঞানমুখী করতে হলে এমন একজন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদকে দায়িত্ব দিতে হবে, যেন তিনি একটি বিজ্ঞাননির্ভর আধুনিক, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারেন। তাই তিনি প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. কুদরতখুদাকে চেয়ারম্যান করে ১৯৭২ সালে প্রথম শিক্ষা কমিশন ‘জাতীয় শিক্ষা কমিশন’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছায় ওই কমিশনে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সময়োপযোগী শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। দেশের বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)’ প্রতিষ্ঠা করেন।

আমাদের দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৬১ সালে পাবনা জেলার রূপপুরে। ১৯৬৯ সালে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাতিল করে দেয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থগিত হয়ে যাওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন বিশ্বে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের যুগ চলছিল। বঙ্গবন্ধু দেখলেন তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা ও সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউরোপ এবং এশিয়ার অনেক দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। পাশাপাশি ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট আবিষ্কার এ বিপ্লবের গতি, প্রভাব ও ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করে দেয়। জাপান, চীন, কোরিয়াসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাব থেকে সৃষ্ট সুযোগকে কাজে লাগাতে শুরু করে। দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু এটা গভীরভাবে উপলব্ধি করেন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্যপদ লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইট আর্থস্টেশন স্থাপন করেন। ফলে বাংলাদেশ সহজেই বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়। একটি দেশের উন্নতিতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখা অত্যাবশ্যক যা বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টির কারণে এর সুফল আজ আমরা ভোগ করছি। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির বহুবিধ ব্যবহার এবং গুরুত্ব নতুন করে বলার কিছুই নেই। ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে তথ্য আদানপ্রদান হচ্ছে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। অফিসের কাজ, ব্যবসা, লেনদেন, কৃষি, চিকিৎসা, শিক্ষাক্ষেত্রসহ প্রাত্যহিক জীবনের বহু কাজ কত দ্রুত আর সহজেই হয়ে যাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে। আমরা এখন এতটাই তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছি যে, একটা দিনও আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া চলতে পারি না। আমরা এখন যা বুঝতে পারছি বঙ্গবন্ধু তা অনুধাবন করেছিলেন বহু বছর আগেই। বলা যায় বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের সূচনা বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তাচেতনার ফসল।

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা’ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন ড. মফিজ চৌধুরী। তবে এই পোর্টফোলিও ছাড়াও ড. চৌধুরী আরো তিনটি পোর্টফোলিও যেমনবিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক সম্পদ ও আণবিক শক্তি বিভাগেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু অবশ্য এতগুলো বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট পোর্টফোলিওর দায়িত্ব পালনের জন্য সঠিক লোককে অর্থাৎ একজন বিজ্ঞানীকেই বেছে নিয়েছিলেন। আসলে বিজ্ঞানের প্রতি এক ধরনের আকর্ষণ থেকেই ড. মফিজ চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধু এতগুলো দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ড. মফিজ চৌধুরী চল্লিশের দশকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি করেছিলেন। একবার ক্যাবিনেট মিটিংয়ে বঙ্গোপসাগরে জাপানকে এককভাবে তেল অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে প্রায় সবাই জাপানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। ড. মফিজ চৌধুরী সংগত কারণেই এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অন্য আরো কয়েকটি দেশকে তেল অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ডক্টর সাহেব যা বলেছেন, তাই হবে।’ বঙ্গোপসাগরে যেদিন প্রথম কূপ খনন হয় সেদিন বঙ্গবন্ধু খুবই উল্লসিত হয়েছিলেন এবং ড. মফিজ চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। এসব ঘটনা সাক্ষ্য দেয় যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানীদের মতামতকে বেশ গুরুত্ব দিতেন।

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু অবাধ জ্ঞান ও গবেষণায় বিশ্বাসী ছিলেন। তাই তিনি উচ্চ শিক্ষার অঙ্গনে একটি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন যাতে এটি গবেষণা, অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এবং বিশ্লেষণাত্মক বিতর্কের মাধ্যমে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা, জ্ঞানের জন্ম দেয় যা বাধাহীন এবং বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া চলতে পারে।

দেশে বিজ্ঞান ও কারিগরি জ্ঞানের চর্চা ও বিকাশের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত আশাবাদী ছিলেন। বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সম্মেলন (জুলাই ১৯৭৩) উপলক্ষে এক বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য বিজ্ঞান ও কারিগরি জ্ঞানের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো দরকার। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করবেন।’ বঙ্গবন্ধু একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুদান বরাদ্দ এবং পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুবিধার্থে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেন।

প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের কাছে বঙ্গবন্ধুর অনেক প্রত্যাশা ছিল। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের এক যৌথ সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে (১০ জুলাই ১৯৭৫) বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘যেকোনো দেশের শতকরা ৮০ ভাগ উন্নতি নির্ভর করে সে দেশের প্রকৌশলী ও কারিগরদের ওপর।’ স্থানীয় অবস্থার পটভূমিকায় সমস্যার সমাধান খোঁজার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের তিনি আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমার নদীগুলো মরে যাচ্ছে। অনেক সময় দেখি, বিদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বসে আপনারা অনেক প্ল্যান করেন। শুধু ইমব্যাংকমেন্ট করলে হবে না। হল্যান্ডের মতো আমাদের গ্রামগুলো তো নিচে চলে যাবে। বাংলাদেশ তো ডেল্টা এরিয়া। সে জন্য আপনারা বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামান।’ এ ধরনের কথাগুলো তিনিই বলতে পারেন, যাঁর মধ্যে এ বিষয়ের বৈজ্ঞানিক ভাবনা ক্রিয়াশীল।

বঙ্গবন্ধু কৃষির উন্নতির জন্য ডিপ্লোমা স্তরের কৃষি কারিগরি কোর্স চালু করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি জন্ম দেন বাংলাদেশে কৃষিবিষয়ক সব সংস্থার সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল’। গবেষণার পরিসর বৃদ্ধি করে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘খাদ্য বলতে শুধু ধান, চাল, আটা, ময়দা আর ভুট্টাকে বোঝায় না; বরং মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শাকসবজি এসবকে বোঝায়।’ এর মাধ্যমে তিনি গবেষকদের কৃষির উন্নয়নে সুষম ও সমন্বিত খাদ্য গবেষণার নতুন ধারণা তৈরি করে দিয়েছেন। কৃষি গবেষণার মাধ্যমে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, উদ্যান উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, ইক্ষু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেন। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রনায়োকচিত দার্শনিক চিন্তার ফল এসব প্রতিষ্ঠান।

দেশে ধান গবেষণার গুরুত্ব অনুধাবন করেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইন পাসের মাধ্যমে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠা করেন এবং তখন থেকে ধানের উপর নিয়মিত গবেষণা শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭৫ সালে বিনাশাইল, ইরাটম ২৪ এবং ইরাটম ৩৮ সহ নতুন নতুন জাতের ধান উদ্ভাবিত হয়।

বঙ্গবন্ধু পাটের সম্ভাবনা কথা ভেবেছেন, তা ছিল নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তি থেকে উত্থিত গবেষণা ভাবনা। তিনি গবেষণার ক্ষেত্রে দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি রপ্তানীমুখী শিল্পধারণা সৃষ্টি করেছেন।

বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে চীন ভ্রমণে গিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘আমাদের দেশের মতো কেরানী পয়দা করার শিক্ষাব্যবস্থা আর নাই। কৃষি শিক্ষা, শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনিক্যাল শিক্ষা দেয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু প্রায় ৫০ বছর আগে যা যা ভেবেছিলেন বিশ্ব এখন অনেকটা ওই পথেই হাঁটছে। তিনি চেয়েছিলেন সবার জন্য শিক্ষা এবং তার জন্য কাজও করে গেছেন। চাইতেন বহির্বিশ্বের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আধুনিক মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তিনি হয়তো আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন, তাঁর দিকনির্দেশনা এখনও আছে। এই দিকনির্দেশনা নিয়েই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আধুনিক ‘সোনার বাংলা’। আজকের বাংলাদেশের মুকুটে সাফল্যের যে সকল পালক যুক্ত হয়েছে, বঙ্গবন্ধুই সে সকল স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন, বঙ্গবন্ধু থাকবেন আমাদের সকল বিজয়ে, সকল অনুপ্রেরণায়।

লেখক : প্রাবন্ধিক; প্রফেসর, গণিত বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধলবিস্টদের মুখোশ উন্মোচন জরুরি