প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, “বঙ্গবন্ধু চেয়ারের কাজ হলো বঙ্গবন্ধু ও দেশকে নিয়ে গবেষণা করা কারণ বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। এজন্য তরুণদের বেশি এগিয়ে আসতে হবে এবং যাদের গবেষণায় আগ্রহ রয়েছে। তাছাড়া গবেষণার জন্য পরামর্শ ও দেশের জন্য কাজ করে যেতে সকলের জন্য দরজা খোলা থাকবে আমার পক্ষ থেকে। আমরা প্রতি মাসে অন্তত একটি অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করব। আর বছরে ছয়টি পাবলিক লেকচার আয়োজন করার প্রস্তাব রাখব কর্তৃপক্ষের কাছে যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলে উপস্থিত থাকবে। আমি শিক্ষকদের সাথে বসব। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি কর্মসূচি তৈরি করব।”
আজ সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে যোগদান করায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুনতাসীর মামুন।
এর আগে তিনি চবি’র ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সংবর্ধিত মুনতাসীর মামুন বলেন, “দেশে প্রায় ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ রয়েছে। এগুলোতেও আশানুরূপ গবেষণা হয় না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশে প্রায় ১ হাজার বই রয়েছে। সবগুলো প্রায় একই। নতুন কিছু নাই। গবেষণা হচ্ছে না। এ পদে দায়িত্ব নেওয়ায় সকলে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছেন। আশা করি সকলের আশার প্রতিদান দিতে পারব।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, “আমরা গত এক বছর ধরে যোগ্য একজন গবেষক খুঁজছিলাম যা অনেকেই জানতেন না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে পেরেছি।”
তিনি বলেন, “ড. মুনতাসীর মামুন বাংলাদেশের শিক্ষা গবেষণা ও বঙ্গবন্ধুর সাথে জড়িয়ে আছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কাজ করছেন। তাকে আমরা বঙ্গবন্ধু চেয়ারের পদে চেয়েছিলাম। তিনি তা গ্রহণ করেছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
এ সময় অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ নির্বাহী কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একজন যোগ্য লোককে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর এ নিয়োগের ফলে চবিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জ্ঞান-গবেষণার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে।”
চবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সিনেট সদস্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মহীবুল আজিজ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. গাজী সালাউদ্দীন, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মাইনুল হাসান।