তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, “দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা ও হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা। এটি হচ্ছে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। তৎপরবতীতে জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিনা বিচারে বহু সামরিক অফিসার জোয়ানকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। সেই সময় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, এখন যারা মানবাধিকার নিয়ে বিবৃতি দেয় সেগুলো নিয়ে তারা তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করে না।”
আজ শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদার অডিটরিয়ামে উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, “সরকার দেশে মানবাধিকার রক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উপস্থাপিত হলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে বিদেশ থেকে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দেয় কিন্তু সেসব সংগঠন যে সমস্ত দেশ থেকে বিবৃতি দেয় সেসব দেশে নানাভাবে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে তারা কখনো উচ্চবাচ্য করে না।”
উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি কে এম মুছার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাস্টার ইসকান্দর মিয়া তালুকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আবুল ফজলের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উদ্বোধকের বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর আমিনুল হক।
বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি, আইনজীবী সেকান্দর চৌধুরী, রেহেনা আক্তার, মাস্টার আবদুর রউফ, নির্মল কান্তি দাশ, রঞ্জন বড়ুয়া, সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, মানবাধিকার নেতা ইঞ্জিনিয়ার অলি আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক রুবায়েত রাশেদ, মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।












