বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ

নাসের রহমান | সোমবার , ২১ মার্চ, ২০২২ at ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে যাওয়ার ইচ্ছা অনেকদিন থেকে। সময় বা সুযোগ কোনোটাই হয়ে উঠেনি। চাকরিজীবীদের এ এক অসুবিধা-অনেক কিছু মেনে চলতে হয়; নির্দিষ্ট সীমার বাইরে যাওয়া যায় না। তবে হঠাৎ করে যে একটা সুযোগ এসে যাবে ভাবতে পারিনি। খুলনায় একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে গিয়ে এ সুযোগটি হয়ে যায়। এখানে এসে জানতে পারলাম, খুলনা থেকে সরাসরি টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়া যায়। সুযোগটা কাজে লাগালাম। কনফারেন্স শেষ করে ফেরার পথে ঘোনাপাড়া দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় চলে গেলাম।
গোপালগঞ্জের মিশনারি স্কুলে বঙ্গবন্ধু পড়ালেখা করেছেন। টুঙ্গিপাড়ার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধারণ করে আছে। রাস্তা থেকে এসব বিদ্যালয় সহজে চোখে পড়ে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কিশোর বঙ্গবন্ধুর অনেক স্মৃতি চোখের ওপর ভেসে উঠে। যতই গাড়ি এগিয়ে চলছে, যতই স্মৃতিসৌধের কাছাকাছি চলে যাচ্ছি, ততই বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাচ্ছি। কারাগারে লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি বঙ্গবন্ধুকে আমাদের অনেক কাছে এনে দিয়েছে। তিনি যেন আমাদেরও বন্ধু। আমাদের শৈশবের বন্ধু কৈশোরের বন্ধু যৌবনের বন্ধু এবং তারুণ্যের বন্ধু। ইচ্ছা হচ্ছে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। তিনি এ পথ ধরে কত হেঁটেছেন। এরকম পাকা রাস্তা ছিল না, মাটির রাস্তা ছিল, হয়তো মেঠো পথ ছিল। কিন্তু রাস্তায় নেমে হাঁটার সে সুযোগ নেই। পাকা রাস্তায় গাড়ি চলাচল করে, হাঁটার রাস্তা কোথায়। মেঠো পথও আর নেই। গ্রামটিও আর আগের মতো নেই। অন্যসব গ্রামের মতো এ গ্রামটিও বদলে গিয়েছে। মধুমতি নদীর তীরের এ গ্রামটি যেন আমাদের সবার গ্রাম। এ গ্রামে আমাদের শৈশব-কৈশোর কেটেছে কখনো কখনো এমন মনে হয়। নদীটি এখনও বহমান। তবে স্রোতধারা আগের মতো নেই। মৃদুমন্দ স্রোতের মাঝে এ গ্রামটিকে এখনও আকুল করে রেখেছে।
বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কাছাকাছি যতই আসছি মনটা কেমন যেন উতাল পাতাল করতে লাগলো। এ বাড়িটি বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক বাড়ি। এ বাড়িতে তিনি জন্ম নিয়েছেন। শিশুকাল কেটেছে। একেবারে সাদাসিধে মধ্যবিত্ত বাঙালির একটি বাড়ি। যে বাড়িতে ধানের গোলা ছিল। সে গোলা থেকে বঙ্গবন্ধু কিশোর বয়সে গরিব-দুঃখীদের মাঝে ধান বিলিয়ে দিয়েছিলেন। এসব ভাবতে কেমন যেন আবেগতাড়িত হয়ে যাই। সেই বাড়িটি এখন আর নেই। যুদ্ধের সময় পাক হানাদারবাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে। যুদ্ধের পরও একটি বাড়ি নির্মিত হয়েছে। সেটাও মোটেই জৌলুসপূর্ণ নয়। একেবারে সাধারণ মানুষের একটি বাড়ি। এখন এখানে বড় কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। এ বাড়িটিও কমপ্লেক্সের আড়ালে পড়ে গেছে। গেইটের ভেতর ঢুকে গাড়ি থেকে নেমে পড়ি। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে এদিক-ওদিক দেখতে থাকি। যেদিকে তাকাই সেদিক থেকে চোখ ফেরাতে পারি না। গাছপালার সবুজ পত্রপল্লব আর অসীম নীল আকাশ যেন এ জায়গাটিকে ছায়াশীতল আর মায়াময় করে তুলেছে। ধীরে ধীরে এক পা দু পা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। কেমন যেন বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব টের পাই। তিনি যেন আমাদের দেখছেন। এ সবুজের মাঝে তিনি মিশে আছেন। আমরা ধরে রাখতে পারিনি। সবুজ তাঁকে জড়িয়ে ধরেছে।
এখন আর পা খুব একটা আগাতে পারি না। একেবারে ধীর পায়ে এগিয়ে যাই। সামনে বড় একটি ইমারত। পাশে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্রন্থাগার। একটি বড় লাইব্রেরি। বঙ্গবন্ধু সময় পেলে বইয়ের ভেতর ডুবে যেতেন। নিজের বাসভবনে একটি লাইব্রেরি ছিল। সেই লাইব্রেরিতে বিভিন্ন বই ছিল। কিন্তু এ লাইব্রেরিতে শুধু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইয়ের ভান্ডার। এত বই একজন মানুষকে নিয়ে কীভাবে রচিত হতে পারে, ভাবা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এত গবেষণা কী করে হলো। এত কাব্য এদেশের কবিরা রচনা করলো এত গল্প এত উপন্যাস এত প্রবন্ধ এত নিবন্ধ ভাবা যায় না। আসলে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললে স্বাধীনতার কথা বললে বিজয়ের কথা বললে বঙ্গবন্ধুর কথা এসে যায়। বাংলাদেশ মানেই তো বঙ্গবন্ধু। লাইব্রেরির পাশে একটি খালি জায়গা আছে। সেখানে অনুষ্ঠান করা যায়, আলোচনা সভাও । এমনকি নাটক-থিয়েটারও করা যায়। যেখানে ছোটখাট মঞ্চের মতো গড়ে উঠেছে। আবার লম্বা সিঁড়িতে অনেক দর্শক-শ্রোতা যেন একসাথে বসতে পারে, এটাও যেন পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর মাজারের ভেতর ঢুকে মনটা অন্যরকম হয়ে যায়। এর আগে অজু করায় মনটা হালকা হয়ে গিয়েছে। ভেতরে ঢোকার পর মনটা হালকা না ভারি বুঝা যাচ্ছে না। মসজিদের ভেতর ঢুকলে ধর্মীয় ভাবাবেগ যেভাবে মনের ওপর ভর করে কিংবা কোনো কবরস্থানের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়াদরূদ পড়লে যেরকম লাগে ঠিক সেরকমও না। আসলে কীরকম লাগছে তা ভেবে দেখার উপায় নেই। পাশাপাশি দুটি কবর। একটি পিতার, আরেকটি পুত্রের। পিতার পাশে পুত্র শুয়ে আছে এইতো নিয়ম। কিন্তু সেই পুত্র কি অন্য দশজন পুত্রের মতো? না, তিনি বঙ্গবন্ধু, তিনি তো জাতির পিতা। তিনি কেন এভাবে শুয়ে থাকবেন টুঙ্গিপাড়ায়।
এসব না ভেবে দোয়াদরূদ পড়তে শুরু করলাম। যত দোয়া মুখস্ত আছে একের পর এক পড়ে যেতে লাগলাম। কখন দু চোখের পানি গড়িয়ে পড়তে শুরু করলো বুঝতে পারলাম না। দোয়াদরূদ পড়া থেমে গেল। কিন্তু চোখের পানি আর থামতে চায় না। বংলায় কীসব বলতে শুরু করলাম। চোখের জলের মতো এতসব কথা মনের ভেতর থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসছে বুঝতে পারছি না। কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আত্মার শান্তি কামনা করা ছাড়া আর কী আছে। কিন্তু কেন যেন ক্ষমা চাইতে শুরু করলাম। নিজের ভেতর এক ধরনের অপরাধবোধ যেন তাড়িত করলো। হে পিতা, তোমাকে কেন আমরা রক্ষা করতে পারলাম না। তুমি তো এ জাতিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছিলে, নিজের জীবনের চেয়ে বেশি। তবে এদেশের সাধারণ মানুষ তোমাকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালবেসেছে। যে ভালোবাসার মূল্য তুমি প্রাণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেছো। তোমাকে এ বাংলার মানুষ কোনোদিন ভুলবে না। তুমিই আমাদের বঙ্গবন্ধু।
প্রহরারত নিরাপত্তারক্ষীরা আর বেশিক্ষণ থাকতে দিচ্ছে না। আসলে অনেকক্ষণ থেকেছি। এত সময় যে এখানে থাকতে দিয়েছে সেজন্য কৃতজ্ঞ। পকেট থেকে টিস্যু বের করে চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলাম। এত কান্না কোথা থেকে এসে গেল কিছুই বুঝতে পারলাম না। কত কবরস্থান কত মাজার জিয়ারত করেছি কিন্তু কখনো এভাবে কান্নার ভেতর ডুবে যাইনি। বাইরে এসে মাজারের সাথে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ছবি তোলা হলো। পাশের ফুলগাছটিতে একটিও ফুল নেই। কিন্তু পাতাগুলো ফুলের চেয়েও বর্ণিল। যেন রঙিন প্রজাপতির পাখার মতো হাজারো রঙে রাঙানো।
অনেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। আমিও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে খানিক নীরবে দাঁড়িয়ে রইলাম। লোকজন তেমন দেখা যাচ্ছে না। পাশে একতলা ছোট্ট একটি বাড়ি। বাড়িটিও অনেকটা ফাঁকা। দরজার কাছে গিয়ে কড়া নাড়তেই বযস্ক একজন দরজা খুলে দিলেন। তিনি আমাদের ভেতরে নিয়ে গেলেন। এখানে বঙ্গবন্ধুর শিশুকাল কেটেছে কৈশোর কেটেছে। বাবা-মা আদর করে আদর করে ‘খোকা’ বলে ডাকতেন। আজীবন তাঁদের কাছে খোকাই থেকে গিয়েছেন। বাড়ির সব আসবাবপত্র অনেক পুরানো। বঙ্গবন্ধুর ব্যবহারের অনেক জিনিসপত্র দেখলাম। সবচেয়ে বেশি চোখে পড়লো আমাদের মহিয়সী জননী বেগম মুজিবের ব্যবহার্য জিনিসপত্র। পুরাতন একটি শো-কেসের তাকে তাকে এসব জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তেমন দামী কিছু নয়। তিনি এ বাড়িতে থাকতে যেসব ব্যবহার করতেন সেগুলো ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এসবের প্রতি তাকালে সেই মহিয়সী নারীর মমতাময় মুখখানি ভেসে উঠে। তবে এ বাড়িটি স্বাধীনতার পরে করা হয়েছে। একেবারে সাধারণ একটি বাড়ি। সামনের রুমটিতে ছোট একটি গোলাকৃতির টেবিলের উপর একটি ভিজিটিং বুক রাখা হয়েছে। এ বইতে দর্শনার্থীরা অনেক কিছু লিখে গিয়েছে। মানুষের মনে যে এত ব্যথা এত কষ্ট বঙ্গবন্ধুর জন্য এ বইয়ের কয়েক পৃষ্ঠায় চোখ বুলালে সহজে বুঝা যায়। এখানে এলে মনে হয় অনেকে কবি হয়ে যায়। না হলে ভিজিটিং বইয়ে এমন কাব্যময় ভাষায় এত কিছু কীভাবে লিখতে পারে। আমিও মনের সব আবেগ মিশিয়ে কয়েক পঙ্‌ক্তি লেখার চেষ্টা করলাম। কবিতার পঙ্‌ক্তিমালা নাকি গল্পের গাথা ঠিক বুঝতে পারছি না। তবু এক পৃষ্ঠা লিখে গিয়েছি কলমের কালিতে, কিন্তু অন্তরের কান্নায় যেন হাজার পৃষ্ঠা লেখা হয়ে গিয়েছে এ সময়ে। মসজিদ থেকে মাগরিবের আযানের ধ্বনি কানে এলো। নামাজের সময় হয়েছে। এত মায়াময় ঘরটি থেকে বের হয়ে গেলাম।
পাশেই মসজিদ যেন বাড়ির সাথে। মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়লাম। বঙ্গবন্ধুর জন্য হাত তুলে মুনাজাত করলাম। মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখি, ওপাশে ছোট একটি পুকুর। পুকুরের ওদিকে আরো ঘরবাড়ি আছে। কয়েকজন মুসল্লির সাথে আলাপ হলো। এদের মধ্যে বয়স্ক একজন বঙ্গবন্ধুর অমায়িক ব্যবহারের কথা বললেন। বয়সে বড় হলেও তিনি সবার সাথে মিশে যেতেন। ছোটদের খুব স্নেহ করতেন। ওপাশের বাড়িটি তাদের। সাথে নিয়ে বাড়িটি দেখালেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোটবেলার স্মৃতি এখনো কাঁদায়।
আশেপাশের দুয়েকটি বাড়ি দেখলে সহজে বুঝা যায় তখন এ পাড়াটি কেমন ছিল। শত অভাব-অনটনের মাঝে পাড়া প্রতিবেশিরা মায়া-মমতার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল। চারপাশের গাছপালাগুলো ছায়াসুনিবিড় করে রাখতো এ পাড়ার মানুষদের। বাংলার আর দশটি গ্রামের মতো এ গ্রামের প্রত্যেক পরিবার ছিল একে অপরের আত্মীয়ের মতো। কিশোর মুজিব এদের দুঃখ-কষ্টের সারথী হয়েছেন। পুকুরপাড়ের আশেপাশের ঘরবাড়িগুলো দেখলে মনে হয় বহুকাল থেকে এরা যেন এভাবে আছেন। যদিওবা অনেক ঘরের দেওয়াল ইটের গাঁথুনি দিয়ে তোলা হয়েছে। একেবারে পাকা ঘরবাড়ির জৌলুস তেমন কোথাও চোখে পড়ে না। পাড়াগাঁয়ের ঘরবাড়ির মতো দাঁড়িয়ে আছে। বাংলার পাড়াগাঁগুলো এখন আগের মত নেই। এ গাঁটি অনেকটা আগের মতো রয়ে গিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত শৈশব-কৈশোরের গ্রাম। সেই গ্রামটি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে আজীবন ধরে রাখতে চায়।
বঙ্গবন্ধুর কাছে একসময় বাংলার সব গ্রাম নিজের গ্রাম হয়ে উঠেছিল। দেশের মানুষদের তিনি খুব ভালোবাসতেন। গ্রামীণ জীবনের যে চিরায়ত ধারা আবহমান কাল ধরে বহমান তার সবটুকু নিয়ে এ গ্রামটিও মধুমতি নদীর একটি শাখায় গিয়ে মিশে গিয়েছে। এ শাখানদীতে পানির মৃদু-মন্দ স্রোতধারা বয়ে চলছে। এর উপর ছোট্ট একটি ব্রিজ ওপারের সাথে যেন সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছে। এখানকার মানুষদের দেখলে মনে হয় এরা বঙ্গবন্ধুর কত পরিচিত। এদের বাপ-দাদার সাথে বঙ্গবন্ধুর কত দেখা কত কথা হয়েছে।
ব্রিজটির উপর গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়াই। একসময় সাঁকোও ছিল না। শাখানদীটি আরো প্রশন্ত ছিল। নৌকা চলতো, বজরাও। মাল বোঝাই নৌকা, শস্য বোঝাই নৌকা, নায়রীর পাল তোলা নৌকা। এসব নৌকা আবার মধুমতি নদীতে গিয়ে পড়তো। উপরে নীল আকাশ, নদীতে পাল তোলা নৌকা, দু ধারে কাশবন যেন ফুলে ফুলে সাদা। আহা কী অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য। কত হাজারবার এসব পথ ধরে নৌকা করে কত জায়গায় পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। কত জনপদ কত গ্রাম কত শহর বন্দর কত মানুষের সাথে মিশেছেন। দেশের আনাচে-কানাচে সর্বত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন। দেশের মানুষ ভালোবেসে তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বলে সম্বোধন করতেন। তিনি সবার কাছে হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু। দেশের বাইরেও অনেক দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় মানুষদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে, বড় বড় শহরগুলোও দেখেছেন। বিশ্বনেতাদের সাথে মিলিত হয়েছেন। জুরিও কুরি সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। বিশ্বনেতার আসনে অধিষ্ট হয়েছেন। সবসময় মধুমতি নদীর তীরে ছোট্ট সবুজ এ গ্রামটিকে তিনি হৃদয়ে ধারণ করে রেখেছেন। এদেশের গ্রামের মানুষগুলোকে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন। তাই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ার শ্যামল মাটিতে বাবা-মার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। লেখক : কথাসাহিত্যিক, ব্যাংকার

পূর্ববর্তী নিবন্ধম্যাক্সিম গোর্কী : মানব অরণ্যের অপ্রাকৃতিক অরণি
পরবর্তী নিবন্ধমোঃ আবদুস ছমদ সওদাগর