একুশে বইমেলায় ‘সব্যসাচী’ প্রকাশনীর স্টলে বিশৃঙ্খলা ও চড়াও হওয়ার ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি করেছে বাংলা একাডেমি। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা একাডেমি সব্যসাচী স্টলের সংঘটিত ঘটনাকে অনভিপ্রেত হিসেবে তুলে ধরে এটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের কথা বলেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ হারুন রশিদকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, সংস্কৃতি কর্মী মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধি মো. আবুল বাশার ফিরোজ শেখ ও শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর। একাডেমির প্রেসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সদস্য–সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। খবর বিডিনিউজের।
তসলিমা নাসরিনের বই রাখায় মেলার দশম দিন সোমবার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে ‘সব্যসাচী প্রকাশনার’ স্টলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৌহিদী জনতার নামে একদল লোক সেখানে চড়াও হয়। তারা স্টলটিতে গিয়ে প্রকাশককে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সব্যসাচীর প্রকাশক শতাব্দী ভবকে বইমেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে যায়। পরে পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষও ঘিরে রাখে উত্তেজিত ওই ব্যক্তিরা। এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা তৈরি হওয়ার পর সোমবার রাতেই বইমেলার স্টলে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এ ধরনের বিশৃঙ্খল আচরণ বাংলাদেশে নাগরিকের অধিকার এবং দেশের আইন উভয়ের প্রতিই অবজ্ঞা প্রদর্শন করে, বলছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।