ফ্ল্যাট বাসায় উঠতি বয়সী কিশোরীদের আটকে রেখে যৌন ব্যবসার সময় মো. হাসান (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। গত রোববার রাতে মিস্ত্রীপাড়ার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশ ভিকটিম দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত মূলহোতা বেলাল হোসেন (৪৫)সহ আরো তিনজন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে গ্রেপ্তার যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া মো. হাসানসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, পলাতক আসামিদের মধ্যে বেলাল নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের সাথে চান্দগাঁও এলাকার এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সুযোগে প্রেমের অভিনয় করে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে গত ২ ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও এলাকা থেকে ডবলমুরিং এলাকায় নিয়ে আসে। সিএনজি চালক বেলাল ঘটনার মূলহোতা বেলাল হোসেনের কাছে ওই কিশোরীকে বিক্রি করে দেয়। ধৃত আসামি মো. হাসান বাসার দায়িত্বে ছিল। তারা যোগসাজশের মাধ্যমে কিশোরীদের আটক রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতো। উঠতি বয়সী কিশোরীদেরকে অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করে এনে দেহ ব্যবসা করা ছিল মূল হোতা বেলালের পেশা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মানব পাচার আইনের একাধিক মামলা রয়েছে।’ ওসি জানান, ‘২ ফেব্রুয়ারি এক কিশোরীর বোন চান্দগাঁও থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে কিশোরীর বোন রবিবার দুপুরে কিশোরীর অবস্থান পুলিশকে অবহিত করে। এরপরই ডবলমুরিং ও চান্দগাঁও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এসময় ওই বাসা থেকে আরেক কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়।