পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন থেকে আটকে থাকা শেয়ারের লেনদেন বাড়াতে ৬৬ কোম্পানির সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস আজ বৃহস্পতিবার থেকে থাকছে না। তারল্য বাড়াতে সাড়ে ১২ মাস আগে নেওয়া ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়মিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আতঙ্কের মধ্যে টানা দরপতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ দেশের পুঁজিবাজারে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
প্রায় ১৩ মাস পরে সেই সিদ্ধান্ত বদলে মোট তালিকাভুক্ত ৩৭৩টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে প্রথম ধাপে ৬৬টির সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে কমিশন। এর আগে চলতি বছরের মার্চে বোনাস বা রাইট শেয়ার ঘোষণার পরে দাম সমন্বয়ে ওই শেয়ারের নতুন করে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়। তবে সাধারণভাবে ফ্লোর প্রাইস বহাল ছিল। গতকাল বুধবার লেনদেন শেষে ৯৭টি শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে ছিল। এর মধ্যে অনেকগুলো শেয়ারের লেনদেন দীর্ঘদিন থেকে হচ্ছিল না বললেই চলে। এতে অনেক বিনিয়োগকারীর টাকা আটকে ছিল।