ফ্লাইওভারকে নিরাপদ করতে চসিক-সিএমপির যৌথ উদ্যোগ

ভেঙে ফেলা হবে বাড়তি স্পিড ব্রেকার, বসানো হবে সিসি ক্যামেরা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৪ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

মৃত্যুফাঁদে পরিণত হওয়া চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারগুলোকে নিরাপদ করার যৌথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নগর ট্রাফিক পুলিশ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সরেজমিন পরিদর্শন করে ফ্লাইওভারগুলোকে নিরাপদ করার একটি এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ এই উদ্যোগ নেয়া হয়। নগরীর লালখান বাজার মুরাদপুর ফ্লাইওভারে প্রায়শঃ দুর্ঘটনা ঘটছে। অতি সম্প্রতি দুজন বাইকার নিহত হওয়ার ঘটনার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ফ্লাইওভারে গাড়ি কম থাকায় গতির ঝড় তোলার নেশা ঘটাচ্ছে প্রাণ বিনাশী এই দুর্ঘটনা।

নগর উত্তর ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ফ্লাইওভারে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে তা চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে পুরো ফ্লাইওভারকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা, ফ্লাইওভারের যত্রতত্র বিদ্যমান স্পিড ব্রেকারগুলো অপসারণ করে প্রয়োজনীয় স্থানে ঝিকঝাক স্থাপন করা, স্পিড ব্রেকারের সংখ্যা কমিয়ে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কিছুটা সমান্তরাল করা, উল্টো পথে মোটরসাইকেল ও ছোট গাড়ির প্রবেশ ঠেকাতে বায়েজিদ রোডের সেনা কল্যাণ পেট্রোল পাম্পের দিক থেকে ফ্লাইওভারে ওঠার মুখের অংশে মিড ডিভাইডার স্থাপন করা, ফ্লাইওভারে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, হাইওয়ের মতো ফ্লাইওভারের পাশেও রাতের বেলা ঝলঝল করে এমন রং ব্যবহার করা, স্পিড ব্রেকারগুলোতে ইলুমিনেটিং কালার ব্যবহার করা, জিইসি মোড়ে স্থাপিত মিড আইল্যান্ডটি অতি দ্রুত আকৃতিতে ছোট করে গোল চত্বর আদল দেয়া হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে। পুলিশের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল প্লাজার দেয়ালে স্থাপিত ইলেকট্রনিক্স বিলবোর্ডগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করে বলা হয়েছে, ফ্লাইওভার থেকে নামার পথে এসব বিলবোর্ডের আলোতে গাড়ির ড্রাইভারেরা দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে, যা জিইসি মোড়ের দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ।

দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকারের এসব বিষয় চিহ্নিত করে ট্রাফিক উত্তর বিভাগের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। গতকাল এডিশনাল কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল মান্নান মিয়া ও ট্রাফিক উত্তরের উপপুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ফ্লাইওভারটিকে দুর্ঘটনা মুক্ত এবং অধিকতর নিরাপদ করার এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে চিহ্নিত দুর্বলতাগুলো সারাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও পুলিশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) জয়নুল আবেদীন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ফ্লাইওভার এভাবে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হতে পারে না। এটিকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে। আমরা বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এগুলো সারানোর পর ফ্লাইওভার অনেক বেশি নিরাপদ হয়ে উঠবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার চিনি রপ্তানি বন্ধ করতে যাচ্ছে ভারত
পরবর্তী নিবন্ধচবির ফি আদায়ে আধুনিক পদ্ধতি, কমবে ভোগান্তি