অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, লেবেলবিহীন রঙ ও ফ্লেভার ব্যবহার এবং একই ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সঙ্গে তৈরি খাবার ও বেকারি সামগ্রী সংরক্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে নগরীর পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ১৫ হাজার হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গতকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগ কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা করা হয়। এসময় মেয়াদোত্তীর্ণ কেক, অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক, লেবেল বিহীন রং-ফ্লেভার ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে ডবলমুরিং থানার বেপারি পাড়ার ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ফার্মভিলে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ কেক ও অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। হালিশহর থানার ছোটপোলের রাব্বি ফুড প্রোডাক্টসকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, লেবেলবিহীন রঙ ও ফ্লেভার ব্যবহার এবং একই ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সাথে বেকারি সামগ্রী সংরক্ষণ করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার রয়েল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, জমানো পানিতে তৈজসপত্র ধৌত করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার হক ফুডসকে নোংরা ত্রিপলে মেঝেতে রেখে টোস্ট বিস্কুট মোড়কজাত করায় এবং লেবেল বিহীন রং-ফ্লেভার ব্যবহার করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
