রাঙ্গুনিয়ায় ফ্রি ফায়ার ও পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশু ও নারীসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। গত ২৯ মে রাতে উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর রোসাইপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত ইছহাকের ছেলে আলাউদ্দিন (৩২), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫), বড় ভাই মোহাম্মদ আলম (৪০), ভাইপো মুজিবুল ইসলাম (১৭), আরিফুল ইসলাম হৃদয় (১৮), ভাগিনা ফয়সাল মাহমুদ (১৮), স্থানীয় আরিফুল ইসলামের স্ত্রী শামীমা আক্তার (৩৮) ও মোহাম্মদ জাফরের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৪২)। তাদের মধ্যে আলাউদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল ৯ জনের নামোল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফয়সাল ও হৃদয় নিশ্চিন্তাপুর ব্রিজের পাশে বসে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম খেলছিল। এসময় হোছনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার স্থানীয় কবির আহাম্মদের ভাগিনা সাইফুদ্দিন (১৮) এসে তার গেমের সফটওয়ার হ্যাক হয়েছে দাবি করে এই দুজনকে অভিযুক্ত করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারির সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চৌকিদার কবির আহাম্মদ, তার ভাই করিম ও ছেলে আনোয়ার হোসেনসহ ২০/২৫ জন দেশিয় অস্ত্রহাতে ছুটে আসে। খবর পেয়ে অপরপক্ষও আসলে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চৌকিদার পরিবারের হামলায় আহত হন ৮ জন। তাদের বিবাদ মিমাংসা করতে গিয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজনও আহত হয়েছেন। এদিকে চৌকিদার কবির আহাম্মদের পরিবারকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার সকালে নিশ্চিন্তাপুর সড়কের দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন চন্দ্রঘোনা অটোরিকশা চালক সমবায় সমিতি ও দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর রোসাইপাড়া প্রবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে বক্তারা চৌকিদার কবির আহাম্মদের পরিবার বাঁশখালী থেকে আসা বহিরাগত উল্লেখ করে তাকে এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। এই হামলার ঘটনায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ লোকমান, মঈন উদ্দিন মঈনু, ইয়াকুব বাদশা, আহাম্মদ মিয়া, খুরশেদ আলম, মাসুদ পারভেজ, মুহাম্মাদ আলী শাহ, মোহাম্মদ বাদশা, মুহাম্মাদ ফারুক, আলী আহাম্মদ প্রমুখ। এই বিষয়ে হোছনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন বলেন, অনলাইন গেমকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনার বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।