সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও ব্যবহারকারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে ‘তথ্য প্রযুক্তি বিধি-২০২১’ প্রণয়ন করেছে ভারত সরকার।
ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আমাদের দেশে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে স্বাগতম জানাই। তবে অবশ্যই এ দেশের সংবিধান ও নীতি মেনে চলতে হবে। অপব্যবহার ও অবমাননার ক্ষেত্রে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
নতুন নীতিমালায় যা রয়েছে-
নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সামাজিক মাধ্যমগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপ্রীতিকর ছবি ও ভিডিও সরাতে বাধ্য থাকবে।
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অভিযোগ জানানোর জন্য এ বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। ওই কর্মকর্তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করবেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবেন। ভারত সরকার ব্যবহারকারীর সংখ্যারভিত্তিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। এক. তাৎপর্যপূর্ণ সামাজিক মাধ্যম। দুই. সামাজিক মাধ্যম। তাৎপর্যপূর্ণ সামাজিক মাধ্যম অর্থাৎ ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অতিরিক্ত কিছু নিয়ম মানতে হবে। ফেসবুক ও অন্যান্য বড় সামাজিক মাধ্যমগুলোকে একজন প্রধান সম্মতি কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে, যিনি আইন ও বিধি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ হবেন। তাকে অবশ্যই ভারতের বাসিন্দা হতে হবে। বড় সামাজিক মাধ্যমগুলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য একজন ‘যোগাযোগ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিতে হবে। যোগাযোগ কর্মকর্তাকে অবশ্যই ভারতের বাসিন্দা হতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণ সামাজিক মাধ্যমগুলোকে প্রতিমাসে একটি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। প্রতিবেদনে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ এবং অভিযোগের সমাধান ও অপ্রীতিকর ছবি, ভিডিও সরানোর প্রমাণ থাকতে হবে। যদি কোনও মাধ্যম নীতি অমান্য করে সেক্ষেত্রে ভারত সরকারের নিরাপদ আশ্রয়ের বিধান তার জন্য প্রযোজ্য হবে না।