বিমানের টিকেট, লাগেজ সবকিছুই প্রস্তুত। শুধু প্রতীক্ষা কবে ফেরা হবে দেশের স্বজনদের কাছে, কবে দেখা হবে একমাত্র শিশুকন্যার প্রিয় মুখ। প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে ঠিকই কিন্তু দেশে নয়; চিরতরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়ে। বলা হচ্ছে ইতালির রোম শহরে মারা যাওয়া চন্দনাইশের যুবক ওবাইদুল করিম এরশাদের (৩৩) কথা। সে উপজেলার গাছবাড়ীয়া দূর্লবপাড়ার মৃত আবু ছায়েদ চৌধুরীর পুত্র। গত শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে এগারটার দিকে সে রোম শহরে নিজ বাসায় হদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। নিহত এরশাদের বড় ভাই মো. সাইফুদ্দিন খালেদ আজাদীকে বলেন, এরশাদ ১৮ অক্টোবর (আজ) দেশে আসার জন্য বিমানের টিকেট, বাজারসহ সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করেছিল। গত শুক্রবার মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তার সাথে ফোনে কথা হয়। তিনি জানান, বিগত ৪/৫ দিন আগে থেকে হঠাৎ তার শরীরে জ্বর আসলে সে করোনাও টেস্ট করায়। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে তার মৃত্যুতে সবকিছু উল্টে গেল। সেখানকার চিকিৎসকরাও পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সে হদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, এরশাদ একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো। বিগত ৬/৭ বছর আগে সে কাজের সন্ধানে ইতালি পাড়ি জমায়। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতো। সর্বশেষ সে গত দেড় বছর আগে দেশে এসেছিল। ১৮ অক্টোবর আবারো দেশে আসার প্রস্তুতি শেষ করেছিল, কিন্তু মৃত্যু তাকে পাঠিয়ে দিল পরপারে।
এরশাদের বড় ভাই বলেন, পিতা বাড়িতে আসবে বলে পথ ছেয়ে আছে তার ১৭ মাস বয়সী শিশুকন্যা। এরশাদ ২০১৭ সালে বিয়ে করে। তার স্ত্রী ও ১৭ মাস বয়সী একমাত্র শিশু কন্যাকে দেশে রেখে যায়। এরশাদের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য বিগত ৪ মাস আগে এরশাদের পিতা আবু ছায়েদ চৌধুরীও বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান।