ফের জামিন আবেদন ওসি প্রদীপের

দুর্নীতির মামলা ।। প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি দুদক

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে ফের জামিন চেয়েছেন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত টেকনাফের বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ। একই দিন এ মামলায় আবারো দুদকের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। গতকাল মহানগর স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে মামলাটির নির্ধারিত ধার্য তারিখে আসামির অনুপস্থিতিতে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। এ সময় আদালত আগামী ১০ জানুয়ারি আসামির উপস্থিতিতে জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
জানতে চাইলে দুদকের মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মাহামুদুল হক আজাদীকে বলেন, বুধবার ওসি প্রদীপের মামলার ধার্য তারিখ ছিল। এদিন নির্ধারিত সময়ে কোর্ট বসলেও আসামি প্রদীপকে হাজির করা হয়নি। আদালতে দুদকের প্রতিবেদন জমা দিতে না পারার পাশাপাশি আসামিপক্ষ থেকে নতুন কোনো আবেদন জমা না পড়ায় আসামিকে আদালতে আনা হয়নি। শেষদিকে এসে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন।
দুদকের পিপি বলেন, যেহেতু আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন না তাই কোনো শুনানি হয়নি। এ সময় আদালত আগামী ১০ জানুয়ারি মামলার ধার্য তারিখ আসামির উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য রেখেছেন। এর আগেও আসামি প্রদীপের জামিন চাওয়া হয়েছিল কিন্তু তার জামিন মেলেনি বলে জানান অ্যাডভোকেট মাহামুদুল হক।
জানা গেছে, আগামী ধার্য তারিখে জামিন আবেদনের শুনানির পাশাপাশি দুদকের প্রতিবেদন দাখিলের দিনও ধার্য রয়েছে। গতকাল ওসি প্রদীপের দুর্নীতি মামলায় হাজিরা ঘিরে যথারীতি আদালতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর মামলার সর্বশেষ ধার্র্য তারিখে আসামি প্রদীপকে আদালতে আনা হলেও দুদকের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় ওইদিন মামলাটির কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। গত ১৩ অক্টোবর মামলার মূল ধার্য তারিখে অন্যান্য আবেদনের সাথে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও এদিন কোনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি দুদক।
গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ ও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে দুদকের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রায় ৪ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আদালত প্রদীপ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে আদালত শুনানিতে আসামিদের অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। এর আগের দিন তাকে কঙবাজার থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে আনা হয়েছে। তখন থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ডিভিশন সুবিধায় রয়েছে প্রদীপ কুমার দাস।
২০১৮ সালে দুদকের তদন্ত কমিটি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হলেও চুমকি তা জমা দেন ২০১৯ সালের ১২ মে।
প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮) বোয়ালখালী উপজেলার সরোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ লাল দাশের ছেলে। অন্যদিকে তার স্ত্রী চুমকি কারণও (৪৫) একই এলাকার বাসিন্দা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকারারক্ষীদের জন্য দশতলা ভবন, হচ্ছে ব্যারাকও
পরবর্তী নিবন্ধপরীক্ষার জন্য টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেল গ্লোব