ফুলকলির ফিরনি ও মাহলাবিয়া রোজাদারদের পছন্দের সেরা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৫ মার্চ, ২০২৫ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

রমজান মাসে সারা দিন রোজা রেখে ইফতারের সময় সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে সবাই পছন্দ করে। এসময় সবাই চায় যেন আদর্শ খাবারটি ইফতারের টেবিলে থাকে। রোজাদারের সে চাহিদা মেটাতে ফুলকলি নিয়ে এসেছে প্রায় ৩৯ রকমের ইফতার আইটেম। এবার তাদের ইফতারের মেন্যুতে এনেছে আরো বৈচিত্র্যময়, যোগ করেছে আরো স্বাস্থ্যকর খাবার। তাদের সবগুলো আউটলেটে মাটন হালিম, চিকেন তান্দুরী, চিকেন রোল, চিকেন সাচলিকের মত সুস্বাদু খাবার পাওয়া যাচ্ছে। ইফতারের মেন্যুতে যেমন রয়েছে বিভিন্ন রকমের হালিম তেমনি রয়েছে মাহলাবিয়ার মত সুস্বাদু ডেজার্ট। যা একসাথে হজম ও শরীরের পানির যোগান দেয়। ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খাবারের বৈচিত্র্য ও স্বাদের ভিন্নতা। বিভিন্ন ধরনের কাবাব, হালিম, জিলাপি, পাকোড়া, সিঙ্গারা, ফ্রাই, চপ ইত্যাদি যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যকরও। ইফতারের পর খেতে খুবই জনপ্রিয় ডেজার্টগুলো, বিশেষ করে মাহলাবিয়া ক্রেতাদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়।

নগরীর ফুলকলির কয়েকটি আউটলেটে ঘুরে দেখা গেছে, তাদের ইফতারির মেন্যুতে চিকেন হালিম, মাটন হালিম, চিকেন তান্দুরী, চিকেন রোল, চিকেন সাসলিক, চিকেন উইন্স ফ্রাই, শাহী জিলাপি, রেশমি জিলাপি, জিলাপি, চনা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, পাকোড়া, গুড়ি, এগ পটেটো চপ, ইরানি কাবাব সামী কাবাব, জালি কাবাব, ফিস কাবাব, চিকেন টিক্কা, ফ্রাই, ফিস ফিঙ্গার, ড্রাম স্টিক, সিঙ্গারা, রোল, সমুচা, গ্রিল, রোস্ট, কেনাপি, মাশরুম, কোপ্তা, আলুর চপ, শাক বরা, মরিচা, পটেটো চপ, মিনি পাকুরা, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, সবজি বরা, ভেজিটেবল পল ফুডিং, কাপ ফিরনি। এসব ইফতার আইটেম দামও ক্রেতাদরে নাগালের মধ্যে রয়েছে।

নিউর্মাকেট আউটলেটে ইফতার কিনতে আসা সদরঘাটের বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, বাসায় হালিম, চপ, ছোলা ও অন্যান্য ইফতারের ঝাল আইটেম বানায়। ফুলকলি থেকে মাহলাবিয়াটা নিই। এটি স্বাদে একদম ভিন্ন। দেখতে পায়েসের এর মত হলেও স্বাদ একেবারেই অন্যরকম।

আরেক ক্রেতা জানান, বাসায় ইফতারি বানানো হয়েছে। তবে কাবাব, লাচ্ছি, মাহলাবিয়া ও জিলাপি কিনতে এসেছি, কারণ বাচ্চারা এগুলো খেতে পছন্দ করে। তাদের খাবারে অন্যদের থেকে স্বাদের ভিন্নতা রয়েছে।

নিউর্মাকেট আউটলেটের এক বিক্রয় কর্মী জানান, প্রথম রোজা থেকেই ইফতারের বিক্রি ভালো হচ্ছে। বিশেষত কাবাব, সাসলিক, হালিম, এবং জিলাপির চাহিদা বেশি। ডেজার্টের মধ্যে মাহলাবিয়ার চাহিদা বেশি। বিকেল ৫টার আগে বেশিরভাগ ইফতার আইটেম শেষ হয়ে যায়।

নিউর্মাকেট আউটলেটের ম্যানেজার জানান, আমাদের প্রায় ৩৯ রকমের ইফতারের মধ্যে সবগুলো ক্রেতাদের চাহিদার র্শীষে রয়েছে। এরমধ্যে ফিরনি, হালিম আর মাহলাবিয়ার চাহিদা বেশি। এসব আইটেম আসরের পর পর শেষ হয়ে যায়। তাছাড়া, টক দই, কাপ দই, জিলাপির বেশ চাহিদা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমব জাস্টিস ও মোরাল পুলিশিংয়ের সুযোগ নেই : রিজওয়ানা হাসান
পরবর্তী নিবন্ধহাসিনার ফাঁসির আগে নির্বাচন নিয়ে কথা নয় : সারজিস