ফুটপাত-মার্কেটে শীতের কাপড়ের পসরা, অপেক্ষা ক্রেতার

জাহেদুল কবির | শনিবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ফুটপাত থেকে শুরু অভিজাত মার্কেটগুলোতেও শীতের কাপড়ের পসরা সাজাচ্ছেন বিক্রেতারা। শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরাও সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ফুটপাতগুলোতে শীতবস্ত্র কিনতে আসছেন ক্রেতারাও। আমাদের দেশে নভেম্বরের শেষের দিক থেকে শীত মৌসুম শুরু হয়। ডিসেম্বরজানুয়ারিতে শীতের মাত্রা থাকে খুব বেশি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পর্যায়ক্রমে শীতের মাত্রা কমতে থাকে। বর্তমানে ভোরের দিকের হিমেল হাওয়া শীত ঋতুর উপস্থিতিই যেন জানান দিচ্ছে। বিশেষ করে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলেই এই অনূভুতিটা বেশি। তাই ভোর রাতের দিকে গ্রামের কথা বাদ দিলে এমনকি শহরাঞ্চলেও কম্বলের সাথে মানুষের সখ্যতা যেন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। গতকাল নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান, টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, তামাকুমন্ডি লেইন ও রিয়াজুদ্দিন বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, দোকান ও শোরুমের কর্মচারীরা শীতের কাপড় থরেথরে সাজাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়া ক্রেতারাও এসে পছন্দের পণ্যটি দরদাম করছেন। পছন্দ হলেই কিনে নিচ্ছেন।

বিক্রেতা আশরাফ উদ্দিন বলেন, শীত এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। তাই খুচরা বিক্রির চেয়ে পাইকারি বিক্রি বেশি এখন। বিভিন্ন উপজেলা থেকে দোকানিরা এসে শীতের কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। রিয়াজুদ্দিন বাজারে আসা ক্রেতা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শীতের সুয়েটার কিনতে এসেছি। শীত যদিও এখনো শুরু হয়নি। তবে মার্কেটগুলোতে প্রথমদিকে ভালো ভালো কিছু কালেকশন থাকে, তাই মূলত আসা।

ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটে চীনা তৈরি ব্লেজার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। এছাড়া চামড়ার তৈরি জ্যাকেট ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে চীনা কম্বল আকারভেদে ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশীয় শাল ও চাদর বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। বিদেশি ভালো মানের শাল চাদরের দাম পড়ছে ৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। ভালো মানের সুয়েটার বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় এবং উলের তৈরি সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

মার্কেটে শীতের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে জহুর হকার্স মাকেটের আমিন এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা শীতের দারুণ সব সংগ্রহ নিয়ে এসেছেন। সামনে আরো ভালো ভালো কালেকশন আসবে। তবে বেচাবিক্রি এখনো সেভাবে শুরু হয়নি।

তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের মার্কেটে পাইকারি ও খুচরা দুইভাবে বিক্রি হয়। বর্তমানে পাইকারি বিক্রির চাপ বেশি। তবে খুচরায় সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। শীতের প্রকোপ বাড়লে বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধথানা ও ওয়ার্ডে বিএনপির কমিটি পুনর্গঠন শীঘ্রই
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা