ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জন হয়েছে। আহত ৪৯ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং ৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সুলু প্রদেশের জোলো দ্বীপে ৯৬ আরোহী নিয়ে সামরিক বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নিহতদের বেশিরভাগই সেনাসদস্য। আর বিমানটি আছড়ে পড়ে মাটিতে তিনজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর বিডিনিউজের।
এক বিবৃতিতে ফিলিপিন্সের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, লকহিড কোম্পানির তৈরি সি-১৩০ বিমানটি অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সুলু প্রদেশের পাতিকুল এলাকায় চারপাশে গাছের মধ্যে পড়ে থাকা বিমানটির ধ্বংসাবশেষ আগুন ও ধোঁয়ায় ঢেকে আছে। সুলু প্রদেশে ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের সঙ্গে ফিলিপিন্স সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় একজন কমান্ডার। ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লোরেনজানা জানিয়েছেন, প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিমানটিতে তিন পাইলট ও পাঁচ ক্রু সদস্যসহ মোট ৯৬ জন আরোহী ছিলেন। ফিলিপিন্সে প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক বিমান দুর্ঘটনা। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী প্রধান সাংবাদিকদের বলেছেন, রানওয়েতে নামতে গিয়ে ব্যর্থ হয় বিমানটি। ইঞ্জিন নতুন করে সচলের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। এরপরই মাটিতে আছড়ে পড়ে সেটি। কর্মকর্তারা বলেছেন, বিমানটিতে হামলা হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। উদ্ধার অভিযান শেষ হয়ে গেলেই ঘটনার তদন্ত শুরু হবে।