সমকামী আন্দোলনের সমর্থনে ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপজুড়ে ‘ওয়ানলাভ আর্মব্যান্ড’ পরে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপের ৯টি দেশ। কিন্তু ফিফার নিষেধাজ্ঞার ভয়ে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তারা। তবে জার্মানি ফুটবল দল ঠিকই ফিফার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে, অন্যভাবে অভিনব উপায়ে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে গতকাল বুধবার আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জাপানের মুখোমুখি হয়েছে জার্মানরা।
ম্যাচের আগে গ্রুপ ফটো তোলার সময় হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে দাঁড়ান মুলার-কিমিচরা। নিষেধাজ্ঞার ভয়ে যে মুখ খুলতে পারছেন না; তা এভাবেই বুঝিয়ে দিলেন তারা। সেই সঙ্গে নীরব প্রতিবাদও হয়ে গেল। সমকামী সম্পর্ক এবং এর প্রচার কাতারের ইসলামী শরীয়া আইনে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এর জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারিত আছে। এমনকি বিশ্বকাপেও এ ব্যাপারে ছাড় দেয়নি কাতার। আয়োজক দেশের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ফিফা। আর এ নিয়েই সরব বিভিন্ন দেশের ফুটবলার থেকে সমর্থকরা। তবে ফিফা জানায় ওয়ানলাভ আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামলে হলুদ কার্ড পাবেন অধিনায়ক।
তাই ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর জবাবে যৌথভাবে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউরোপের সাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন লেখে, ‘ফিফার সিদ্ধান্তে আমরা খুবই হতাশ, যা নজিরহীন বলেই বিশ্বাস করি আমরা। ফিফা খুবই পরিষ্কার ছিল যে, আমাদের খেলোয়াড়রা আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।’ বিবৃতিতে আরো লেখা হয়, আমরা জরিমানা দিতে প্রস্তুত ছিলাম এবং আর্মব্যান্ড পরতেও শক্তভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম।
তবে আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের এমন পরিস্থিতিতে ফেলতে পারি না যেখানে তাদের নিষিদ্ধ হওয়া বা বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন ফিফার সিদ্ধান্তের আইনি গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।