ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুরের ম্যাচে দুই ব্যাটার সন্দেহজনকভাবে আউট হন। তখন অভিযোগ ওঠে ফিক্সিংয়ের। এই ঘটনায় তদন্ত করছে বিসিবি। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক শেষে কথা বলেন তামিম ইকবাল। ক্রিকেটারদের এভাবে সবার সামনে প্রকাশ করার বিষয়টি মানতে পারছেন না তিনি। তবে ক্রিকেটাররা দোষী হলে তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে একমত তামিম। গতকাল বিসিবির সভাপতি ও দুই কর্মকর্তার সঙ্গে ক্রিকেটারদের মিটিংয়ের পর ডিপিএলে হওয়া বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন মোহামেডানের সাবেক এই অধিনায়ক। তামিম বলেন, ‘কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন গুলশান আর শাইনপুকুরের ম্যাচে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা বোর্ডকে খুবই স্পষ্টভাবে বলেছি দেখুন, যদি সেখানে কোনো দুর্নীতি হয় বা কোনো ক্রিকেটার কোনো ভুল কিছু করেছে তার শাস্তি হোক আমরা সবাই চাই।’ ‘আমরা শতভাগ এটার সঙ্গে একমত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই দুটো ছেলেকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন। এটা করানোর কোনো অধিকার আপনার নেই। এটা বিশ্ব এন্টি করাপশন বা কোনো জায়গায় এমন নিয়ম নেই মিডিয়ার সামনে একই জিনিস করিয়ে দুটো ছেলেকে বেইজ্জত করবেন। এটা ক্রিকেটারদের প্রতি অপমান। আমরা এটা নিয়ে এক ফোটাও খুশি ছিলাম না।’ শুধু ডিপিএল নয়। বিপিএলে হওয়া ফিক্সিং নিয়েও মুখ খুলেছেন তামিম। শেষ হওয়া আসরটিতে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জন ক্রিকেটারের নাম মিডিয়াকে জানানো হয়েছে। যেটি করা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন তামিম। পাবলিকলি এভাবে তাদের নাম প্রকাশ করা ক্রিকেটারদের জন্য অপমানজনক বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘এর আগে বিপিএলেও একই ঘটনা ঘটেছে। দশজনের নাম লিক হয়েছে। বিসিবি থেকে দশজনের ছবি দিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়াতে। ওইখান থেকে যদি কোনো ক্রিকেটার দোষী হয় তাহলে আমরা সব ক্রিকেটার চাই তার শাস্তি হোক। যতটুকু শাস্তি সম্ভব দেয়া হোক।’ ‘যদি ওইখান থেকে দুজন নির্দোষ বা আটজন নির্দোষ, নামগুলো লিক করে দেয়া পাবলিকলি এটা ক্রিকেটারদের জন্য অপমানজনক। এগুলো নিয়ে আমরা চিন্তায় ছিলাম। ক্রিকেটারদের এভাবে ট্রিট করতে থাকলে ভালো কিছু হবে না।’ তামিম বলেন,‘এই প্রত্যেকটা জিনিস নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় স্টেক হোল্ডার হল ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের যদি এভাবে ট্রিট করা শুরু করেন, তাহলে তো হলো না। এ জিনিস নিয়ে আমরা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছি আসতে, উনি এসেছেন সঙ্গে আরও দুজন পরিচালক (নাজমুল আবেদীন ও ইফতেখার আহমেদ) ছিলেন। আমরা লম্বা আলোচনা করেছি। আমাদের পয়েন্ট তুলে ধরে উনাকে বলেছি আমরা আপসেট।’ উনাদের আমরা সুন্দর করে অবস্থান পরিষ্কার করেছি আমরা কী অনুভব করি। তারপর উনারা উনাদের মতো সিদ্ধান্ত দেবেন।