হাসপাতালের পরেই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ভরসার একমাত্র জায়গা হলো ফার্মেসি। জ্বর, মাথাব্যথা, ঠাণ্ডাজনিত কারণসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিকার পাওয়ার জন্য মানুষ ফার্মেসিমুখী হয়। বর্তমানে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে প্রায় সব জায়গাতেই কম বেশি ফার্মেসি রয়েছে। শহরের ফার্মেসিগুলোতে কমবেশি অভিজ্ঞ ফার্মাসিস্ট থাকলেও গ্রামের চিত্র ঠিক তার পুরোটাই উল্টো। গ্রামের ফার্মেসিগুলোতে অদক্ষ ফার্মাসিস্টের পাশাপাশি থাকে না ড্রাগ লাইসেন্স। গ্রামের ফার্মেসিগুলোতে লোকাল ঔষধ কোম্পানির ঔষধের ছড়াছড়ি, এইসব কোম্পানিগুলোর বেশির ভাগই অনুমোদনহীন। যা স্বাস্থ্যের জন্য নিয়ে আসে বড় ধরনের হুমকি। তাছাড়া, অদক্ষ ফার্মাসিস্ট হওয়ায় সঠিক ঔষধ দেওয়া তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হলেও তারা নিজেদের মন মতো ঔষধ দিয়ে থাকেন। ফলে, রোগ মুক্তির চাইতে নতুন রোগ সৃষ্টির আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়। নেই ড্রাগ সুপারের নিয়মিত তদারকি। নেই ড্রাগ প্রশাসনের জনসচেতনতামূলক কোনো কর্মসূচি। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্য সচেতনতা বৃদ্ধি হওয়ার বদলে তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। নকল, ভেজালযুক্ত ঔষধ প্রতিরোধে ড্রাগ প্রশাসনকে কঠোর আইন প্রণয়নের পাশাপাশি, নিয়মিত তদারকি একান্ত প্রয়োজন।
মুহিবুল হাসান রাফি
শিক্ষার্থী,
চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ।










