এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে দুই দুর্বল দল ওমান এবং আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি জয় ছাড়া আর কিছুই নেই পাকিস্তানের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরেছে দুই ম্যাচে। ফাইনাল খেলাটা যখন ক্রমশ দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছিল পাকিস্তানের জন্য ঠিক তখন ঘুরে দাঁড়াল। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল পাকিস্তান।
গতকাল সুপার ফোর পর্বের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। আর টানা দুই হারে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল লঙ্কানদের। দুই দলই সুপার ফোর পর্ব শুরু করেছিল হার দিয়ে। তাই গতকালের ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তান হারাল শ্রীলঙ্কাকে। পাকিস্তানের বোলাররা ম্যাচ জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিল। আর ব্যাটাররা মাঝপথে চাপে পড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। সে সাথে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল।
চসে হেরে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায়। রান করার আগেই ফিরেন কুশল মেন্ডিস। তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার নিশাংকাকে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। তবে হাল ধরার চেষ্টা করেন আশালাংকা এবং কামিন্দু মেন্ডিস। আশালাংকা ২০ রান করে ফিরলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কামিন্দু মেন্ডিস। ৪৪ বলে ৫০ রান করে শাহীন শাহ আফ্রিদির তৃতীয় শিকার হন কামিন্দু। শেষ দিকে হাসারাঙ্গার ১৫ এবং করুনারত্নের ১৭ রানে ভর করে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের পক্ষে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ এবং হুসাইন তালাত।
১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল পাকিস্তানের দুই ওপেনার– ফারহান এবং ফখর জামান। কিন্তু ৪৫ রানে ভাঙে এ জুটি। একই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরান তিকসানা। ফারহান ২৪ এবং ফখর জামান করেন ১৭ রান। এরপর পরপর দুই ওবারে সাইম আইয়ুব এবং সালমান আগাকে ফেরান হাসারাঙ্গা। ৪৫ রানে এক উইকেট থেকে ৫৭ রানে ৪ উইকেটে পরিনত হয় পাকিস্তান। মোহাম্মদ হারিসও পারেননি দলকে টানতে। ফিরেছেন ১১ বলে ১৩ রান করে। এরপর প্রতিরোধ গড়েন হুসাইন তালাত এবং মোহাম্মদ নেওয়াজ। এ দুজন আর কোন বিপর্যয় হতে দেননি। ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ১২ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। হুসাইন তালাত ৩০ বলে ৩২ আর নেওয়াজ ২৪ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।