ফলাফলের মোড় ঘোরাতে পারে যে অঙ্গরাজ্যগুলো

মার্কিন নির্বাচন

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ৩ নভেম্বর, ২০২০ at ১০:৪৩ অপরাহ্ণ

সবার দৃষ্টি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। তাদের একটাই কৌতূহল আগামী চার বছরের জন্য কে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউজে।
বিভিন্ন জরিপ মতে জানা যায়, এবারই সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অনিশ্চয়তায় ভরা এক নির্বাচন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। পূর্বাভাস, কেন্দ্র ফেরত জরিপ কিংবা পূর্বানুমান যেমনই হোক না কেন দেশটির কিছু রাজ্য একেবারেই ঘুরিয়ে দিতে পারে নির্বাচনের ফলাফল। বাংলানিউজ
এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দেশটির অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে অন্তত ছয়টি রাজ্য এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে সকল সমীকরণ উলটে দিতে পারে যে অঙ্গরাজ্যগুলো সেগুলো হলো আরিজোনা, পেনসিলভানিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া এবং উইসকনসিন। এছাড়াও আলোচনায় আছে নর্থ ক্যারোলিনা এবং মিশিগানের মতো রাজ্য।
১৯৫২ সালের পর বিল ক্লিনটন একমাত্র ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ছিলেন যিনি আরিজোনা অঙ্গরাজ্যে বিজয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। সবশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজয়ী হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাজেই বাইডেনের জন্য এই রাজ্য জয় মোটেও সহজ হবে না যদিও নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপে এক শতাংশে এগিয়ে আছেন বাইডেন।
পেনসিলভানিয়া রাজ্যটিকে মনে করা হচ্ছে ফলাফলের ‘ট্রাম্প কার্ড’। ধারণা করা হচ্ছে এই রাজ্যের বিজয়ী প্রার্থীই শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউজে পৌঁছাতে পারবেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্য থেকেও বিজয়ী হয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজ্যটিতে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ২০টি।
১৫ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের নর্থ ক্যারোলিনায় পরিসংখ্যানের হিসাবে বেশ পিছিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাটরা। সবশেষ ২০০৮ সালে বারাক ওবামা এই রাজ্যে বিজয়ী হন। আর তার আগে ১৯৭৬ সালে জিমি কার্টার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ৩.১৬ শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে এই রাজ্যেও জয়ী হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্ত থাকা টেক্সাস অঙ্গরাজ্যটি সাধারণত রিপাবলিকানদের বলেই ধরে নেওয়া হয়। সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ট্রাম্প এই রাজ্যে বিজয়ী হবেন বলেই এখনও ধরে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যটিতে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ৩৮টি।
২৯ ইলেকটোরাল ভোট থাকা ফ্লোরিডা জয় করা কারো জন্যই সহজ হবে না। ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যটিতে ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য থাকলেও বর্তমানে রাজ্যটির গভর্নর রিপাবলিকান দলের। ২০০০ সালের নির্বাচনেও বেশ বিতর্ক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্ম দিয়েছিল রাজ্যটি। রাজ্যটির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল।
ফলাফল নির্ধারণে যে রাজ্যগুলোকে ‘টস আপ টেরিটরি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার মধ্যে জর্জিয়া অন্যতম। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত রাজ্যটিতে ডেমোক্র্যাটদের জয় জয়কার থাকলেও পরবর্তীতে এটি রিপাবলিকানদের দখলে চলে যায়। তবে শেষ মুহূর্তের ফলাফলে চমক দেখাতে পারে জর্জিয়া।
চিজ এবং বিয়ার উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ১০টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। সবশেষ নির্বাচনে মাত্র শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ পপুলার ভোটের ব্যবধানে রাজ্যটিতে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনের ফলাফল যেতে পারে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকাশ্যে যুবলীগ নেতা, গোপনে ইয়াবা বিক্রেতা
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত ৩০