ফটিকছড়ির সুয়াবিলকে নতুন উপজেলা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় জনগণ। জনগণের মতামত ছাড়াই এই ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ায় তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার আংশিক অংশকে নবগঠিত ‘ফটিকছড়ি উত্তর উপজেলা’তে সংযোজন প্রস্তাবের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় সুয়াবিল চুরখাঁহাট বাজারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুয়াবিল ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষক–শিক্ষার্থী, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জনগণের মতামত না নিয়েই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার অংশবিশেষকে নতুন উপজেলায় যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা অন্যায্য ও জনস্বার্থবিরোধী। বক্তারা আরও বলেন, সুয়াবিল থেকে ফটিকছড়ি উপজেলা সদরের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার, কিন্তু প্রস্তাবিত নতুন উপজেলা বাগান বাজারের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এতে জনগণ ভোগান্তির শিকার হবে। তারা অভিযোগ করেন, ভুল তথ্য উপস্থাপন করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। মাঠ পর্যায়ের কোনো প্রতিবেদন বা জনগণের গণশুনানি ছাড়াই এ প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসোর্স সেন্টারের কো–অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, আমরা সরকারের উন্নয়নমূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানাই, তবে প্রশাসনিক বিভাজনে জনগণের মতামতকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংগঠক আমান উল্লাহর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাজিরহাট কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস. এম. নুরুল হুদা, ডা. এস. এম. ফরিদ, অ্যাডভোকেট ইছমাইল, সংগঠক শাহজাহান, গাজী আমান উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন, এম. এ হায়াত, এম. এন আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।