ফটিকছড়িতে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেলেন গৃহবধূ ফাতেমা বেগম (২৩)। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী। গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ফাতেমার মৃত্যু হয়। উপজেলার বাগান বাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের ইমাম হোসেনের (৩০) স্ত্রী ফাতেমা। তিনি একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, গত ১৩ মার্চ রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ফাতেমা আগুনে দগ্ধ হন। এতে তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। এ ঘটনার পরদিন ফাতেমার পিতা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে ভূজপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বিয়ের পর থেকে ইমাম হোসেন ও ফাতেমা বেগমের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। দুটি সন্তানই কন্যা হওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফাতেমাকে কটুক্তি করতো। বেশ কয়েকবার সালিশীর মাধ্যমে তাদের মিলমিশ করে দেয়া হয়। এরপরেও বন্ধ হয়নি নির্যাতন। ১৩ মার্চ রাতে স্বামীর দেরিতে বাড়ি ফেরা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ফাতেমার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা কেরোসিন ঢেলে ফাতেমার শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ইমাম হোসেন। ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবদুল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ইমাম হোসেন ও তার বাবা আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনই জেলহাজতে রয়েছেন।