ফটিকছড়িতে উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ছাত্রদলের ৮-১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি বিএনপির।
এ ঘটনায় ফটিকছড়ি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব দিলু, ছাত্রদলের সদস্য সচিব প্রকৌশলী মুন্না, ভূজপুর ইউপি’র যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়াছ, ছাত্রদল নেতা সাহেদুল আলম, মঈনুদ্দিন, ইব্রাহিম সহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে প্রকৌশলী মুন্নার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাই। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্ব একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমাদের ৮-১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মুন্নার অবস্থা গুরুতর। অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার সময় তাদের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের লোকজন ছিল। আমরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। আমাদের কর্মীরা তাদের দেখে ধাওয়া দিয়েছে। এ সময় বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জামায়াত-শিবিরকে রক্ষার চেষ্টা ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছিল। তাদের ওপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, শুনেছি কোনো বিষয়ে রেগে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা চলে যায়। এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।