ফটিকছড়িতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়

দুই চেয়ারম্যান ভোটে স্থগিতাদেশ

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | বুধবার , ১০ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ির ১৪ ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। সহিংসতা ঠেকাতে র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় তৈরী করেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় জাফতনগর, সমিতিরহাট, সুন্দরপুর এবং বাগান বাজার ইউনিয়নে হামলা-মামলা, সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। গতরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রচারণার শেষ দিন প্রার্থীরা ভোট চাইলেন ন্যায় বিচার, সুশাসন, ভোটাধিকার এবং উন্নয়নের জন্য।
এদিকে ভোটাররাও প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করে ভোট দেয়ার চিন্তা করছেন।
জানা গেছে, ফটিকছড়ির বাগান বাজার, দাতমারা, নারায়ণহাট, হারুয়ালছড়ি, পাইন্দং, কাঞ্চন নগর, সুন্দরপুর, লেলাং, রোসাংগীরি, সমিতিরহাট, ধর্মপুর, বক্তপুর, জাফত নগর, আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর লেলাং ও বক্তপুর ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর আবেদনে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্র। তবে সেখানে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিনে প্রতিটি ইউনিয়নে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে, হাটে বাজারে, মাঠে-ঘাটে গণসংযোগ করেছেন। নিজেদের প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। প্রার্থীরা জানিয়েছেন জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা যা ঘটেছে তার মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় পুলিশ সার্বক্ষণিক প্রেট্রোল ডিউটি করছে। ভোটের আগের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যেখানে গন্ডগোল সেখানেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পারে এবং নির্বাচনী কাজে ব্যঘাত না ঘটে তার জন্য যতটুকু কঠোর হতে হয় প্রশাসন তা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচার দিনের অচলাবস্থায় বিপুল ক্ষতি
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে আছে উচ্ছ্বাস, আছে শঙ্কা