ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদকে ‘নেতাদের ধরা যাবে না’ বলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের এক নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার দুপুরে ফেডারেশনের ফটিকছড়ি পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন রুবেল এমন হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা সদরের বিবিরহাট থেকে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ফটিকছড়ি পৌরসভা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিলকে ২০২৪ সালের একটি অর্থঋণ মামলায় আটক করে পুলিশ। আটকের পরপরই তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন রুবেল ১০–১২ জনের একটি দল নিয়ে থানায় যান। এ সময় ওসি নিজ কার্যালয়ে ছিলেন। রুবেল তাদের নেতা ইব্রাহিম খলিলকে কেন আটক করা হয়েছে জানতে চান ওসির কাছে। তিনি কোনো জামায়াতের নেতাদের ধরা যাবে না বলে ওসিকে হুমকি দেন। উত্তরে ওসি বলেন, আমি ওয়ারেন্টমূলে তাকে আটক করেছি। আমি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করি। বিষয়টি নিয়ে ওসির সাথে ওই নেতার বেশ কথা কাটাকাটি হয়।
অভিযুক্ত ফেডারেশন নেতা মো. গিয়াস উদ্দিন রুবেল মোবাইলে বলেন, না না, ওসি সাহেবের সাথে আমার কোনো ঝামেলা হয়নি। কোনো কথা কাটাকাটি হয়নি। আমাদের কয়েকজন ভাইয়ের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে। এরপর মিটিং শেষে পরে কথা বলবেন বলে তিনি মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন।
ফেডারেশনের ফটিকছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি গাজি মো. বেলাল বলেন, মূল আসামি আটক না করে ওসির কাছে আমাদের নেতাদের আটকের কারণ জানতে চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা এখন মিটিংয়ে। তার দোষ আছে কী না দেখে পরে জানানো হবে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রুবেল নামে ওই নেতা কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে থানায় এসে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কোনো অবস্থাতেই জামায়াত নেতাদের ধরা যাবে না। ওয়ারেন্ট থাকলেও না। ধরলে দেখে নেওয়া হবে। খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। সেভাবেই আগাচ্ছি।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, আমরা বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টির বিস্তারিত জেনেছি। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।