মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের উদ্যোগে ফজলুল হক বিএসসির স্মরণসভা গতকাল শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছের সভাপতিতে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া।
প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ড. সেকান্দর হায়াত। আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন, পান্টুলাল শাহা, আবুল কাসেম, আবদুল মোতালেব, আবদুল্লাহ আল চৌধুরী, নুরুল হুদা, জয়নুদ্দীন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, মীরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বলেন, এক সংবেদনশীল, সদা প্রাণবন্ত, বাংলাদেশের রাজনীতির শুদ্ধপুরুষ খ্যাত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একান্ত বিশ্বস্ত ছিলেন ফজলুল হক বিএসসি। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ফজলুল হক আমার একমাত্র বিএসসি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু–পরিবারের সঙ্গেও জড়িয়ে থাকা বিএসসি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহ–শিক্ষক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সত্যিকারের সুষ্ঠু ধারার এক শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম ফজলুল হক বিএসসি।
প্রধান আলোচক ড. সেকান্দর হায়াত বলেন, প্রয়াত এই মহাপুরুষ ছিলেন পাকিস্তান গণ–পরিষদের সদস্য। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। তিনি ছিলেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ছয় দফা আন্দোলনসহ দেশের নানা আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রগামী সৈনিক। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
অত্যন্ত মেধাবী, ত্যাগী, নির্লোভ এ ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরল দৃষ্টান্ত। সভাপতির বক্তব্যে মো. ইউনুছ বলেন, ত্যাগী এই রাজনীতিকের স্মৃতি বহন করছে মীরসরাইয়ে গ্রামের বাড়ির সেই কুঁড়েঘরটি। ছন আর বেড়ার তৈরি নুয়ে পড়া এই ঘরটি থেকে তিনি রাজনীতি পরিচালনা করতেন। তিনি এই ঘর থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ১৯৭০ সালের পাকিস্তান গণ–পরিষদের নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন। এই দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে তার নাম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।