বিশ্বকাপের বনেদি দল আর অভিজ্ঞ দলের লড়াইয়ে জেতেনি কোন দলই। লাতিন আমেরিকার প্রতিনিধি এবং দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল এশিয়ার প্রতিনিধি দক্ষিণ কোরিয়া। আর সে ম্যাচে উরুগুয়েকে রুখে দিল দক্ষিণ কোরিয়া। একাধিক সুযোগ পেয়েও সেগুলোকে কাজে লাগাতে না পারার খেসারত দিল উরুগুয়ে পয়েন্ট হারিয়ে। আর দক্ষিণ কোরিয়া চেষ্টা করেছে নিজেদের দুর্গ পাহারা দিয়ে কিভাবে আক্রমণ করা যায়। কিন্তু সে পরিকল্পনা ফলপ্রসূ হয়নি দক্ষিণ কোরিয়ার। ফলে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ে দু’দল।
যদিও লাতিন আর এশিয়ান ফুটবলের লড়াইটার শুরুতেই প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস মিলছিল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই বেশ জমে উঠেছিল। দু’দলেরই সামনে এসেছিল এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে ম্যাচটা কেমন যেন উত্তেজনা হারাতে থাকে। কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে দক্ষিণ কোরিয়া আর আক্রমণে উরুগুয়ে এগিয়ে ছিল। যদিও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল দুই দলই। ১৯ মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। কিন্তু হোসে মারিয়া হিমেনেসের লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন ফেদে ভালভেরদে তা উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। তিন মিনিট পর বড় সুযোগ এসেছিল দারউইন নুনেসের সামনে। আবারও লম্বা করে বল বাড়ান হিমেনেস। লুইস সুয়ারেস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্রস দেন পেনাল্টি স্পটের কাছে। লাফিয়ে ভলি করার চেষ্টায় বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি লিভারপুল ফরোয়ার্ড নুনেস। হতাশ হতে হয় উরুগুয়েকে আরো একবার। ২৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আরেকটি সুযোগ তৈরি করেছিল উরুগুয়ে। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে এগিয়ে ডি-বক্সের সামনে গিয়ে মাথিয়াস অলিভেরা পাস দেন ভেতরে নুনেসের উদ্দেশ্যে। এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করেন কোরিয়ান গোলরক্ষক কিম সিউং-জু। ৩৪ মিনিটে প্রথম ভারো একটি সুযোগ পেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সতীর্থের পাসে আট গজ দূর থেকে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন অরক্ষিত ফরোয়ার্ড হওয়াং উই-জো। বিরতির আগে উরুগুয়েকে গোল বঞ্চিত করে গোলবার। কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দিয়েগো গদিন। কিন্তু তার সে গেড ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে। ফলে গোলশূন্যভাবে বিরতিতে যেতে হয় দু’দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখে উরুগুয়ে। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিলনা দলের স্ট্রাইকাররা। একের পর এক আক্রমণ করেও গোল করার মত একটি শটও নিতে পারেনি উরুগুয়ে।
যদিও চেষ্টা করে গেছে দু’দলই। তবে বল দখল এবং আক্রমণ সব দিক থেকেই এগিয়েছিল উরুগুয়ে। কিন্তু দুয়েকবার গোল পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিলেও সেগুলো কাজে আসেনি। শেষ দিকে একটি শট ফিরেছিল গোলবারে লেগে। ফলে পয়েন্ট হারিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় উরুগুয়েকে।