‘প্লাস্টিক ফ্রি ক্যম্পাস’ বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় গতকাল রোববার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এক শিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল অর্গানাইজেশনের (এসডো) আয়োজনে এ কর্মশালায় সেন্ট প্লাসিড স্কুল ও পাহাড়তলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম ও ৯ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।
সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অফিসের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরিন, চট্টগ্রাম রোটারি সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ওসমান গনি মনসুর ও এসডোর হেড অব প্রোগ্রাম মনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া রিসোর্স পারসন হিসাবে প্রশিক্ষক ছিলেন এসডোর প্রোগ্রাম এসোসিয়েট জান্নাতুল ফেরদাউস জুবলি, শানন ইফাত আলম ও রিসার্চ এন্ড ক্যাম্পেইন এসোসিয়েট নশীন নীলা।
উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে আলোচক অতিথিবৃন্দ বলেন, প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার সময় সভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে যা ভূমণ্ডলের ভয়াবহ পরিণতিতে ধাবিত হচ্ছে। এ ভূমণ্ডলে সমুদ্রের গভীরতম তলদেশ থেকে সূউচ্চ হিমালয় পর্যন্ত প্লাস্টিক বর্জ্য ও অণুকনার বিস্তার ঘটছে। এই মুহূর্ত থেকেই সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া ভয়ঙ্কর যজ্ঞ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বক্তাগণ প্লাস্টিকের একক ব্যবহার পরিত্যাগ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সবধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থেই তা অপরিহার্য্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এখান থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের সহপাঠি এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও অর্থবহ সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান।
বক্তাগণ গভীর উদ্বেগের সাথে আরো বলেন, গত ৫০ বৎসরে বিশ্বে প্লাস্টিকের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। মানুষসহ সকল প্রাণী এখন নানানভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য তথা প্রোডাক্ট ইনটেক করতে বাধ্য হচ্ছে। ওয়ার্কশপে উল্লেখ করা হয়, সমুদ্রে বর্জ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য প্রধানত নদীর প্রবাহ থেকে স্তর তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের ভারত ও মিয়ানমার থেকে প্রবাহিত নদীর পানিতেও আমাদের সমুদ্র অঞ্চল ব্যাপকভাবে দূষণের শিকার হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।