“পড়িলে বই আলোকিত হয়” বহু পুরানো এই স্লোগান নিয়ে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে বইয়ের জগতে। বই দরকার আমাদের মনের খোরাক জোগাতে। মনের তৃষ্ণা মিটানোর জন্য বই পড়ার যে কত দরকার যারা নিয়মিত বই পড়ে তারা জানেন। একটা সময় দেখতাম শুধু জেলা উপজেলায় সরকারি পাঠাগার গুলো থাকতো। এর পর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার গড়ে তুললেন “আলোকিত মানুষ চাই” স্লোগান নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যাদের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী গুলো নির্দিষ্ট একটা সময়ে নগরের বিভিন্ন জায়গায় আসে। সেখানেও বই পড়ার জন্য মানুষের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যুগের পরিক্রমায় যেমনটা বাড়ছে ই-বুকে বই পড়ার সুযোগ তেমনি জেলা উপজেলায় পাঠাগার গড়ে ওঠায় বই পড়া আরো সহজ হয়ে ওঠলো। প্রযুক্তির উন্নয়নে তরুণেরা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের দিকে আকৃষ্ট হলেও ভাটা পড়েনি বই পড়ার দিকে। বর্তমানে কিছু গ্রাম কিংবা মহল্লায় দেখা যায় এলাকার আলোকিত মানুষ গুলোর সমন্বয়ে পাঠাগার গড়ে উঠেছে। তবে বেশিরভাগ গ্রামগঞ্জে পাঠাগার গড়ে ওঠেনি ফলে ঐ এলাকার মানুষ গুলো বঞ্চিত হচ্ছে জ্ঞানের আলো থেকে। জ্ঞানতৃষ্ণা বিহীন একটা মানুষকে যে কেউ চাইলে সহজেই খারাপ কাজে পরিচালিত করতে পারে। আর তরুণ প্রজন্মের পাঠাগারে বই পড়ার মাধ্যমে মাদকাসক্ত ও বিভিন্ন খারাপ নেশার ছোবল থেকে রক্ষা পাবে। তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে ওদের পাঠাগারে বই পড়ে নৈতিক চরিত্র গঠনের অমূল্য অবদান রাখতে পারবে। সমাজের কেউ যেন জ্ঞানের আলো হতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে ভূমিকা রাখে আলোকিত পাঠাগার। প্রয়োজনের তুলনায় মানসম্মত পাঠাগারের সংখ্যা বাড়েনি। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে পাঠাগার নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় সরকারি উদ্যোগে প্রতিটি গ্রাম মহল্লায় পাঠাগার স্থাপন করা খুব জরুরি।
মুহাম্মদ আজাদ হোসেন রানা, চট্টগ্রাম।