যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আরও কমে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রয়টার্স/ইপসোসের সর্বশেষ জরিপে এমনটি দেখা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের ওপর পরিচালিত জনমত জরিপগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত এটিই তার সবচেয়ে নিম্ন জনপ্রিয়তার হার। খবর বিডিনিউজের।
দেশের অর্থনীতি পরিচালনা নিয়ে মার্কিনিদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় ধসের মূল কারণ হিসাবে উঠে এসেছে জরিপে। তিন দিনব্যাপী এই জরিপটি শেষ হয় রোববার। ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত পরিচালিত এই অনলাইন জরিপে অংশ নেন ১,০২৪ জন মার্কিনি। জরিপের ফলে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ট্রাম্পের সমর্থন ২ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে।
আগের জরিপে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার হার ছিল ৪৪ শতাংশ। ঐতিহাসিক মানদণ্ডে তার জনপ্রিয়তার হার কম হলেও, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় এই হার তুলনামূলকভাবে বেশি। তাছাড়া, ২০২১–২০২৫ সালের মেয়াদের শেষ দিকে সাবেক মার্কিন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যে জনপ্রিয়তা ছিল, তার চেয়েও ট্রাম্পের অবস্থান এখনও ভাল। জরিপ বলছে, মার্কিনিদের মাত্র ৩৯ শতাংশ মনে করছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সঠিকভাবে পরিচালনা করছেন। এই হার গত সপ্তাহেও একই ছিল।
জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে ট্রাম্পের সক্ষমতা নিয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছেন মাত্র ৩৩ শতাংশ যদিও এটি আগের সপ্তাহের তুলনায় ২ শতাংশ পয়েন্ট বেশি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে নতুন স্বর্ণযুগ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তবে তিনি বাণিজ্য কাঠামো ঢেলে সাজাতে যেসব কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন বিশেষ করে প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপ করেছেন, তা অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে, এসব শুল্কনীতি আমদানিকারকদের লাভে চাপ ফেলছে, যার ফলে মূল্যস্ফীতি আবারও বাড়তে পারে। ট্রাম্প অবশ্য গত শনিবার ওয়ালমার্টকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা যেন বাড়তি দামের দায় শুল্কের ওপর না চাপিয়ে নিজেরাই শুল্কের বোঝা বহন করে। অপরদিকে ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার কমানোর আহ্বান জানালেও, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন মূল্যস্ফীতির আশঙ্কাই তাদের প্রধান উদ্বেগ।












