প্রেমের ঘটনা থেকেই কক্সবাজারে দুই দিনে দুই যুবক খুন হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। গত শুক্র ও শনিবার কক্সবাজার শহর ও শহরতলীর খুরুশকুল এলাকা থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দুই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তাররা হল মোহাম্মদ শাকের (৩০), মোহাম্মদ জাকির (৩০) ও জাহেদুল ইসলাম রাকিব (১৭)।
গতকাল সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ডিসি সড়ক থেকে টমটম চালক আবদুল আজিজের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এর পরদিন শনিবার শহরের কুতুবদিয়া পাড়ার ঝাউবন থেকে মোহাম্মদ এবাদুলের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে ছুরিকাঘাতে ও গলাটিপে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। নিহত টমটম চালক আবদুল আজিজের বাড়ি কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এবং এবাদুলের বাড়ি শহরের কুতুবদিয়া পাড়ায়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম জানান, দুই যুবকের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। আর তিনদিনের মধ্যেই পুলিশ দুই যুবক খুনের রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, দুটি ঘটনার পেছনে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। টমটম চালক আজিজের স্ত্রী পারভীন আক্তারের সাথে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শাকেরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আজিজের সঙ্গে তার প্রেমিকার বিয়ে হওয়ার বিষয়টি শাকের মেনে নিতে পারেনি। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাকের ও তার চাচাতো ভাই মোহাম্মদ জাকির পরিকল্পনা করে আজিজকে খুন করে এবং তার টমটম গাড়িটি লুট করে। এ ঘটনায় আজিজের স্ত্রী পারভিন আক্তার বাদী হয়ে কঙবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে মোহাম্মদ এবাদুলের সঙ্গে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আবার মেয়েটিকে পছন্দ করত তার বন্ধু জাহেদুল। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জাহেদুল ইসলাম রাকিবসহ কয়েকজন মিলে এবাদুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় এবাদুলের মা ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে গত রোববার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গতকাল সোমবার ভোরে চট্টগ্রাম শহরে অভিযান চালিয়ে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম থেকে কঙবাজারে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়।