প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের রানার্স আপ ট্রফির লড়াইটা বেশ ভালই জমে উঠেছে। দশম রাউন্ড শেষে ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাথে এই লড়াইয়ে শামিল হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থাও। দশম রাউন্ড শেষে এই তিন দলের পয়েন্ট যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা ২১, ব্রাদার্স ১৯ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা ১৯। যেখানে আগামীকাল মুখোমুখি হবে ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা্ সংসদ ক্রীড়া চক্র। অপরদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে রাইজিং স্টার ক্লাবের বিপক্ষে। আগামীকালের ম্যাচে যদি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র জিতে যায় তাহলে তারা রানার্স আপ হয়ে যাবে। আর যদি ব্রাদার্স ইউনিয়ন জিতে অপরদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি যদি তাদের শেষ ম্যাচে জিতে তখন ব্রাদার্স ইউনিয়ন রানার্স আপ হয়ে যাবে। কারণ সেক্ষেত্রে হেড টু হেডের বিষয় আসবে। তখন বন্দরকে হারানোর সুবাধে ব্রাদার্স রানার্স আপ হয়ে যাবে। যদি ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয় তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা রানার্সআপ হয়ে যাবে। এদিকে গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের দশম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে শহীদ শাহজাহান সংঘকে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা। তাদের জয়টা ১৪১ রানের বিশাল ব্যবধানে। সাজেদুল আলম রিফাতের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির উপর ভর করে এই বড় জয় পায় বন্দর ক্রীড়া সংস্থা।
সকালে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতির শুরুটা ছিল একেবারে বিবর্ণ। মাত্র ৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে বন্দর দল। চতুর্থ উইকেটে ৩৫ রান যোগ করেন রিফাত এবং অনিক। ২৬ রান করে ফিরেন অনিক। এরপর দলের হাল ধরেন রিফাত এবং আবির। দুজন যোগ করেন ১৬৫ রান। ৫৮ রান করে রান আউট হয়ে আবির ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর দলকে টেনে নিয়ে গিয়ে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন রিফাত। ১১৯ বলে সেঞ্চুরি করা রিফাত ফিরেছেন ১২২ বলে ১০৭ রান করে। তিনি ৫টি চার এবং ৬টি ছক্কা মেরেছেন। শেষ দিকে রতন দাশের ২৬ বলে ৩৬ এবং তারেক কামালের ১৬ বলে ১৫ রানের উপর ভর করে ২৬৪ রান সংগ্রহ করে বন্দর ক্রীড়া সংস্থা। শহীদ শাহজাহান ষংঘের পক্ষে ৬৮ রানে ৪ উইকেট নেন সজিব। দুইটি উইকেট নিয়েছেন সুমন।
২৬৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শহীদ শাহজাহান সংঘের দুই ওপেনার কপিল এবং আতিক মিলে ৪৭ রান যোগ করেন। এ জুটি ভাঙার পর আর বড় কোন জুটি গড়ে তুলতে পারেনি শাহজাহান সংঘ। ১৬ বলে ৩৩ রান করে ফিরেন কপিল উদ্দিন। এরপর ১০ বলে ১৪ রান করে ফিরেন আতিক। বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর মুখে পড়ে এরপর আর কোমর সোজা করে দাড়াতে পারেন শহীদ শাহজাহান সংঘের ব্যাটাররা। এক পর্যায়ে শতরান পার করতে পারবে কিনা সংশয়ে পড়েছিল শাহজাহান ষংঘ। শেষ পর্যন্ত ২৯.৫ ওভারে ১২৩ রান করে অল আউট হয় শাহজাহান সংঘ। আর তাতেই ১৪১ রানের বিশাল পরাজয় বরন করতে হয় তাদের। দলের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে সাজ্জাদ ২৩ এবং সজিব করেন ১৩ রান। দলের সাতজন ব্যাটার দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে ৩৫ রানে ৪টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান। ৩টি উইকেট নিয়েছেন রতন দাশ। ২টি উইকেট নিয়েছেন আবির।