বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের প্রিপেইড মিটার চালু হওয়ার পর গ্রাহকরা আশ্বস্ত হলো– ভৌতিক বিলের রাহু থেকে বাঁচা যাবে। গ্রাহকরা ভাবলো মিতব্যয়ি হলে বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় কমানো সহজ হবে। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য প্রিপেইড মিটার চালু করা হলেও অযাচিত ব্যয় থেকে রক্ষা পেলো না। এখানে ডিজিটাল ভূত মানুষের পকেটের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে! মিটার চার্জ, ডিমান্ড চার্জ, রিবেট চার্জ, ভ্যাট এসব মিলিয়ে একটা বড় অঙ্কের টাকা প্রতি মাসেই গ্রাহক থেকে কেটে নেয়া হচ্ছে। একইভাবে গ্যাস প্রিপেইডও কর্তন চিত্র দেখা যায়। দেখা গেছে বিদ্যুতে ১০০০ টাকা রিচার্জ করলে ২৩৯ টাকা মাঝে মাঝে তার চেয়েও বেশি কেটে নেয়া হচ্ছে। কথা হচ্ছে এভাবে আর কতদিন কেটে নেয়া হবে, আরো কত টাকা কেটে নিলে তাদের মিটারের মূল্য পরিশোধ হবে বা চাহিদা মিটে যাবে– তা গ্রাহকদের জানার বাইরে।
ডিজিটাল মিটারে সুবিধা ভোগ করতে গিয়ে গ্রাহকরা এখন দুর্ভোগে পড়ছে। বাটনে নম্বর চেপে রিচার্জ করতে গিয়ে মিটার লক হয়ে যাওয়া অথবা ২২০টি ডিজিট চাপতে অপ্রত্যাশিত ভাবে ভুল নম্বর চাপ পড়লে আবার নতুন করে রিচার্জ করলে দেখা যায় ১০০ টাকা মাইনাস হয়ে গেছে। মিটারের ব্যাটারি পরিবর্তন করতে ৪০০ বা ৫০০ টাকার মত খরচ পড়ে। নগদ টাকা রিচার্জ করেও গ্রাহকরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। তাই অনির্দিষ্ট কাল চার্জ কাটা বন্ধ করে গ্রাহকদের অযাচিত ব্যয় কমিয়ে তাদের প্রতি সদয় হওয়ার জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ
সুকান্ত দেবনাথ
নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম