প্রিন্স ফিলিপের শেষ বিদায়

| রবিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

চিরবিদায় জানানো হলো ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপকে। গত ৯ এপ্রিল উইণ্ডসর কাসলে প্রিন্স ফিলিপ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। শুরুতে তার মরদেহ শেষকৃত্যের জন্য উইণ্ডসর ক্যাসলের ভেতরে একটি হলঘরে রাখা হয়। এই দুর্গের প্রাকারের ভেতরেই অন্য প্রান্তে অবস্থিত সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে তাকে সমাহিত করা হয়। রাজকীয় এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় গতকাল শনিবার ব্রিটেনের সময় বিকেল ৩টায়। জানা গেছে, মৃত্যুর আগে প্রিন্স ফিলিপ ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন যে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা যেন ন্যূনতম মাত্রায় রাখা হয়। তার মরদেহ সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়নি। তবে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানটি টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। করোনার কারণে এই শেষকৃত্যানুষ্ঠানে মাত্র ৩০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের তালিকায় রানি এলিজাবেথ ও ডিউক অব এডিনবরার পরিবারের সদস্যরা এবং ডিউক অব এডিনবরার তিন জন জার্মান সদস্যও ছিলেন। শেষকৃত্যের শুরুতে ডিউকের মরদেহ উইণ্ডসর দুর্গের প্রাইভেট গির্জা থেকে দুর্গের রাষ্ট্রীয় প্রবেশপথে নিয়ে আসা হয়। এরপর তার মরদেহ একটি জলপাই রঙের ল্যান্ড রোভারে করে উইণ্ডসর দুর্গের ভেতরেই সেন্ট জর্জেস চ্যাপেল নামের গির্জায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর বিবিসি বাংলার।

এই বিশেষ ল্যান্ড রোভার গাড়িটি শববাহী গাড়ি হিসেবে বেছে নেয়া হয় কারণ প্রিন্স ফিলিপ নিজে এটি অনেক দিন ব্যবহার করেছেন এবং এটিতে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে তাতেও তিনি নিজে ভূমিকা রেখেছেন। উইণ্ডসর দুর্গের ভেতরের ঘাসে আচ্ছাদিত চতুষ্কোণ জায়গাটিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো ছিল হাউজহোল্ড ক্যাভালরি, ফুট গার্ড এবং ডিউকের সাথে বিশেষ যোগাযোগ ছিল এমন সেনা ইউনিটের ছোট কয়েকটি দল। মূল শোভাযাত্রা শুরু হয় স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৩টায়। শোভাযাত্রার সামনে গ্রেনাডিয়ার গার্ড নামে সামরিক বাদকদল। রানি এলিজাবেথ নিজেও রাজকীয় বেন্টলি গাড়িতে করে শোভাযাত্রার পেছনে ছিলেন। সে সময় দুর্গের ভেতর তোপধ্বনি এবং গির্জার ঘন্টাধনি করা হয়। ডিউকের মরদেহ তার মর্যাদাসূচক নিজস্ব পতাকা দিয়ে ঢাকা ছিল। তার ওপর ছিল পুষ্পস্তবক এবং ডিউকের নৌবাহিনীর টুপি ও তরবারি। মূল অনুষ্ঠানে ডিউকের স্মরণে পুরো ব্রিটেনজুড়ে এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়। যা শুরু ও শেষ হয় তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে। এরপর গির্জার ভেতরে কফিন নিয়ে যাওয়া হয় এবং তা একটি মঞ্চের ওপর রাখা হয়। চারজন সঙ্গীতশিল্পীর একটি দল ডিউকের পছন্দের কয়েকটি গান পরিবেশন করে সেখানে। এরপর গির্জার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রিন্স ফিলিপকে সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলের রাজকীয় ভল্টে সমাহিত করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি ইতিহাস অস্বীকার করতে চায় : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বে মৃত্যু ছাড়াল ৩০ লাখ শনাক্ত ১৪ কোটি