চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বা পিইসি হবে কি হবে না, সে সিদ্ধান্ত জানাতে সরকার আরেকটু সময় নিতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। কোভিড মহামারীতে গত দুই বছরের বেশিরভাগ সময় শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকায় এখন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ‘ঘাটতি’ পূরণ করে তবেই পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় দুই বছর স্কুল বন্ধ ছিল। আমরা শিখন ঘাটতি পূরণে আর একটু টাইম নিই। আমরা ঘাটতি পূরণ করে তারপর সিদ্ধান্ত জানাব।
কোভিড মহামারীর কারণে ২০২০ সালে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। মহামারীর প্রকোপ কিছুটা কমায় ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে সরাসরি ক্লাস শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা হলেও পরবর্তীতে সেটি বাতিল হয়। সমাপনী পরীক্ষার পরিবর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়।
জাকির হোসেন বলেন, সমাপনী পরীক্ষা নভেম্বরের দিকে হয়, আমরা ২-৩ মাস আগে জানাব। এখনই জানালে কোচিং সেন্টার সব লাইন ধরবে। সমাপনী একবারেই বাতিল করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন যে কারিকুলাম আছে, সেখানে পরীক্ষাটা নাই। আমরা শিক্ষাবিদসহ অংশীজনের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার চাপে ফেলা হোক, তা তারা চান না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পাঠে ব্যস্ত থাকুক। তাদেরকে টেনশনে ফেলতে চাই না। তারা শিখন যোগ্যতা যাতে অর্জন করতে পারে সেজন্য পরীক্ষার টেনশন দিতে চাই না। ভবিষ্যতে এই সমাপনী পরীক্ষা থাকবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রিক চিন্তা করার কোনো কারণ নাই মন্তব্য করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পিইসি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সরকার সময় নিয়ে ঘোষণা দিতে চায় বলেও জানান এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ছোটদের শিখন প্রক্রিয়া এবং বড়দের শিখন প্রক্রিয়া ভিন্ন। এখনই জানিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটা ব্যাহত করতে চাই না। আমরা আর একটু সময় নিয়ে ঘোষণা দেব।